তারেক রহমান দেশে যান, খালেদা জিয়াকে বাচাঁন, জনগন বিএনপির সাথে আছে কিন্তু বিএনপি জনগনের সাথে নেই!!!!
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৩:৩২,অপরাহ্ন ২৯ মার্চ ২০১৯ | সংবাদটি ৯৯৭০১ বার পঠিত
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী
অনেক দিন থেকে লিখিনা লিখতে চাইওনা। লিখে কি লাভ? শেষ লিখা লিখেছিলাম গত সংসদ নির্বাচনের আগের দিন। এর পর আর লিখা হয়ে উঠেনি। নির্বাচনের আগে যে সব লিখা আমি লিখেছিলাম সেখানে আওয়ামীলীগের বন্ধুরা আমাকে ভূল প্রমান করায় কি যে অট্রহাসি তারা হেসেছেন সেটা বলে বা লিখে লাভ নেই। আওয়ামীলীগ সরকার বলেছিল তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। শেখ হাসিনার অধীনে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন অবাধ সুষ্ট ও নিরপেক্ষ হবে! সুষ্ট নির্বাচন হয়েছে! কেউ কেউ বলেছেন ৫০ বছরের মধ্যে এ রকম সুষ্ট নির্বাচন বাংলাদেশে আর হয়নি! বিএনপি নির্বাচনের সময় দাড়াতে পারেনি। নির্বাচন নিয়ে আরেকদিন লিখব। আজ লিখতে বসেছি তারেক রহমান সাহেবের দেশে যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে।
ওয়ান ইলেভেনের সময় ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সাহেবদের শাসনামলে তারেক রহমান সাহেব লন্ডনে এসেছিলেন। আমার স্পষ্ট মনে আছে। স্মৃতি যদি আমার সাথে প্রতারণা না করে তাহলে খুব সম্ভবত লন্ডনের গেটউয়িক এয়ারপোর্টে তারেক রহমান সাহেব এসেছিলেন, তাকে রিসিভ করেছিলেন বিএনপির তৎকালীন যুক্তরাজ্য কমিটির সভাপতি মরহুম কমর উদ্দিন সাহেব। নিউজ কাভার করার জন্য আমি গিয়েছিলাম এয়ারপোর্টে। লন্ডনে তখন রমজান মাস ছিল। সাংবাদিকদের মধ্যে একমাত্র আমি এবং অন্য একটি টেলিভিশনের এক রিপোর্টার ছাড়া উল্লেখযোগ্য কেউ ছিলেননা। আমি ১৫০ পাউন্ড খরচ করে গেটউয়িক এয়ারপোর্টে টেক্সি নিয়ে গিয়েছিলাম, আমার সাথে তৎকালীন সময়ে চ্যানেল আই ইউরোপের ক্যমেরাম্যান কে যেন ছিল এ মুহুর্তে নাম মনে করতে পারছিনা। তারেক রহমান সাহেব এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে একটি এম্বুলেন্সে উঠেছিলেন সেই এম্বুলেন্সে কমর উদ্দিন সাহেবও উঠেছিলেন, এম্বুলেন্সে করেই তারেক রহমান সাহেবকে নিয়ে আসা হয়েছিল লন্ডনে, তারেক রহমান সাহেবের মাথায় অথবা কপালে একটি ব্যন্ডিস ছিল। সেই থেকে তিনি রাজার হালেই লন্ডনে আছেন। গত দশ বছর লন্ডনে থেকে রহমান সাহেব কি অর্জন করেছেন আমি জানিনা, তবে পারিবারিকভাবে কিছুটা লাভবান হয়েছেন তারেক রহমান। শুনেছি তারেক রহমান সাহেবের স্ত্রী জোবায়দা রহমান ডাক্তারী লাইনে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন, মেয়ে জামাইমা রহমান লন্ডনে ভালো পড়াশুনা করছে। শুনেছি মাঝে মধ্যে তারেক রহমান মেয়েকে গাড়ী করে নামিয়ে দিয়ে যান শিক্ষা প্রতিষ্টানে। তা ছাড়া দলের বিভিন্ন কর্মসুচীতে যোগ দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে দেখি তিনি যাচ্ছেন, তার নেতারা তাকে বাড়ী পৌছে দেন। বেশ কয়েকমাস আগে ঢাকার এক টেলিভিশনের নারী সাংবাদিক একটি ডাহা মিথ্যা রিপোর্ট তারেক রহমান সাহেবের বিরুদ্ধে করেছিলেন, সেখানে তার বাড়ীর বর্ণনা এমনভাবে দিয়েছিলেন যা শুধু ঢাকার কিছু সংখ্যক পল্টিবাজ সাংবাদিকরাই করতে পারে। সেই নারী সাংবাদিকের রিপোটটি আমাকে কে যেন ইনবক্স করেছিল আমি দেখেছিলাম সেটি, আর মনে মনে ভেবেছিলাম চামচামীর সব সীমানা পেরিয়ে ঢাকার সাংবাদিকতা এখন ধোলাইখাল ও জিঞ্জীরার দুনাম্বারীকে ও হার মানিয়ে ফেলেছে! তবে বিভিন্ন্ সময়ে তারেক রহমান সাহেব আওয়ামীলীগ সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত বক্তব্য রেখেছেন। যা পরবর্তীতে খুবই আলোচিত সমালোচিত হয়েছে। আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাস করেছেন এসব বক্তব্য দেয়ার মত উপদেশ তারেক রহমান সাহেবকে কে দেয়? আমি বলেছি আমি জানিনা। তবে তারেক রহমান সাহেবের আশে পাশে থেকে যারা উপদেশ দেয় তারা কারা? কি তাদের রাজনৈতিক পরিচয়। বিএনপির মত বিশাল দল আজ অনেকটা দেউলিয়া হতে চলেছে! কিন্তু কেন? তারেক রহমান কি কিছুই বুঝতে পারছেননা? বিএনপিতে ডায়নমিক লিডারশীপের দরকার। বর্তমানে কি লিডারশীপ চলছে তা আমার মত অনেকেরই অজানা।
বিএনপি আজ রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে, অনেকেই তাতে হতাশ। আমি কিন্তু মোটেই হতাশ নই। আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষতমার বাইরে ছিল ২১ বছর। আওয়ামীলীগকে অনেক ঝড় তুফান সহয্য করতে হয়েছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ হাল ছেড়ে দেয়নি, বাংলাদেশের অনেক পলিটিক্যাল পান্ডিতকে বলতে শুনেছি আওয়ামীলীগ কি শেষ পর্যন্ত মুসলিমলীগের ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছে! ঐ যে মুসলিমলীগ এক সময় চার টুকরো হয়ছিল! মুসলিমলীগ (সবুরখান) মুসলিমলীগ (ইউসুফ) আরো কে কে ছিল এখন আর মনে নেই। আওয়ামীলীগেরও সেই অবস্থা হয়েছিল, আওয়ামীলীগ (মিজান) আওয়ামীলীগ (গাজী) এবং মরহুম রাজ্জাক সাহেবের আন্ডারে হয়েছিল বাকশাল। কিন্তু বিএনপি? বিএনপি এ থেকে অনেক শক্ত অবস্থানে রয়েছে, এত কিছুর পরও বিএনপিকে বর্তমান সরকার দু টুকরো করতে পারেনি, এখানে তারেক রহমান সাহেবের কিছুটা হলেও কৃতিত্ব রয়েছে। দলকে ভাঙ্গার হাত থেকে তিনি শক্ত হাতে ধমন করতে পেরেছেন।
আমি অনেকবার লিখেছি আজো লিখছি, বিএনপির বিদেশ-নীতিটা কি? বিদেশ-নীতি কে দেখাশুনা করে? তা-ও আমি জানিনা! এক ভদ্রলোক ছিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী তিনিও নাকি শেষ পর্যন্ত ডিগবাজি দিয়ে গত সংসদ নির্বাচনের সময় বদরুদ্দুজা চৌধুরী স্যারের দলে আশ্রয় নিয়েছেন। দল অনেকেই পাল্টায়, বৃটেনের বহুল আলোচিত সমালোচিত প্রধানমন্ত্রী ওয়েষ্টিন চার্চ্চিলও দল বদল করেছিলেন। কিন্তু যে বয়সে শসসের মুবিন চৌধুরী ও ইনাম আহমদ চৌধুরী দল বদল করেছেন সে বয়সে শুধু শুনেছি দেখা শুনার জন্য একজন মহিলাকে বিয়ে করার রেওয়াজ আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে, নামাজ কালাম করার সময় ওজুর পানি এগিয়ে দেয়ার মত লোক যদি না থাকে, স্ত্রী যদি মারা যান তাহলে কাজের লোকের মত একজন স্ত্রী দরকার হয়। সে যাক বিদেশ নীতিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দলের জন্য। তারেক রহমান সাহেব ভালো বলতে পারবেন। তারেক রহমান সাহেবের তো ভালোই জানার কথা তার দল বিএনপিকে ইউরোপ আমেরিকা সহ বহিঃবিশ্ব কি দল হিসেবে জানে? এবারের নির্বাচনে আমার ধারণা ছিল বিএনপি সেই অভিযোগ সেরে উঠবে কিন্তু অতিমাত্রায় একটি দলের লোকদেরকে নমিনেশন দেয়া অথবা নমিনেশন বানিজ্য দলকে নুতন-ভাবে বিতর্কের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
আওয়ামী সরকারের এত ব্যর্থতার পরও সরকার কিভাবে ঠিকে থাকে? কিভাবে সরকার দাড়িয়ে থাকে? কারন জনগন মনে করে এটি বিএনপির নেতৃত্বের পুরো ব্যর্থতা। এটি তারেক রহমান সাহেবের অদুরদর্শী রাজনীতির এক জলন্ত এবং নিকৃষ্ট প্রমান। এত কিছুর পরও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে সরকার ঠিকে থাকতে পারেনা। আওয়ামীলীগ সরকার তাদের ভূলগুলো নিয়ে সদর্পে দাড়িয়ে আছে কারন বিএনপির ব্যর্থতার পাহাড়ে এমন কথা আলোচনার টেবিলে সর্বত্রই। বিএনিপতে বেশ কিছু সরকারের দালাল রয়েছে যারা সরকারের সাথে আতাত করে ব্যবসা বানিজ্য করছে। তারা প্রায়ই বলেন সরকারের দমন পীড়ন আর পুলিশের গুলিবাজির জন্য বিরোধী দল আন্দোলন করতে পারছেনা। কিন্তু ৯০ এর গনবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে স্বৈরাচারের ট্রাক রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল কিন্তু স্বৈরাচার পরাজিত হয়েছিল জনতার আন্দোলনে। আমি এর আগেও একবার লিখেছিলাম বিএনপি যতদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল ততদিন আওয়ামীলীগ ছিলনা। বিএনপি রাজনীতির ইনিষ্টিটিউশনে পরিণত হওয়ার কথা ছিল। তারেক রহমান সাহেব লন্ডনে আছেন গত দশ বছর, এ দশ বছরে পরীশীলনের রাজনীতি কি এগিয়েছে? বিএনপির গঠনতন্ত্রে ভাইস চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রাখার বিধান না থাকলেও ক্ষতি নেই। তারেক রহমান সাহেবের বাবার গড়া দল তিনি যা খুশী তা-ই করতে পারেন। কিন্তু উপদেষ্টাদের তালিকায় রাজনীতিবীদদের বেশে কিছু বুদ্ধী প্রতিবন্ধী আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে থাকা লোকজনকে হয়তো উপদেষ্টা রাখতে হয়। এটাই বোধহয় নতুন রাজনীতির নিয়ম। বিএনপি বিরোধীরা বলেন তারেক রহমান সাহেব সরকার বিরোধী আন্দোলনের ব্যপারে বার বার ভূল করছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারেক রহমান এবং গিয়াস উদ্দিন আল মামুনদের দাপটের কাছে অনেকেই কথা বলতেননা। তা ছাড়া হারিস চৌধুরী নামক এক প্রাণীর কাছেও নাকি সিনিয়র নেতারা ধরাশায়ী ছিলেন। তারেক রহমান সাহেরেব ভূলের কারনে দলকে আজ কঠিন মূল্য দিতে হচ্ছে।
প্রিয় তারেক রহমান আপনি লন্ডনে আছেন দীর্ঘদিন থেকে আপনি আপনার তৃনমূলের নেতাদেরকে লন্ডনে ডেকে একটি ওপেন ডিসকাশনের আয়োজন করেন যারা মন খুলে আপনার সমালোচনা করবে, নেতৃত্বের সমালোচনা করবে। ভূলগুলো কোথায় হচ্ছে না হচ্ছে সে ব্যাপারে তারা তাদের মতামত দিবে। আপনি যেভাবে বিএনপি চালাচ্ছেন সেভাবে একটি দল চলতে পারেনা। আপনার আশে পাশে যারা রয়েছে তারা আপনাকে ভয়ে কিছু বলেনা সবাই শুধু প্রশংসা করে যাচ্ছে। আর আপনার কাছ থেকে সরে গিয়ে গালি দিচ্ছে। সমালোচনা করছে। আপনি কি এসব কথা গুলো বুঝতে পারছেন না? না, বুঝেও না বুঝার ভান করছেন? আমি জানিনা। আপনি যেভাবে বিএনপিকে চালাচ্ছেন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারও দেশকে সেভাবে চালাচ্ছে। যার যা খুশী তাই বলছে। মিডিয়াগুলো গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে দিয়েছে। চারিদিকে শুধু চামচামী আর তোষামোদী দেখতে দেখতে আমি বিরক্ত। সরকারের ব্যাপারে কেউ কিছু বলেনা। সরকারের মন্ত্রীরা মুখে যা আসছে তাই বলছে। এক মন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছেন দেশ নাকি আগামী দশ বছরের মধ্যে আমেরিকা সিঙ্গাপুরকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাবে। এসব উদ্ভট কথা ও লন্ডনে বসে আমাকে শুনতে হচ্ছে। আমি মাঝে মধ্যে ভাবি আওয়ামীলীগের মন্ত্রী এমপিরা বাংলাদেশের মানুষকে কি ভাবে? বাংলাদেশের মানুষরা কি চার পা ওলা জন্তু নাকি? এদেরকে কোথাও কিছুদিনের জন্য তালাবদ্ধ করে রাখা যায়না? এসব পাগল মন্ত্রী এমপিদের কি পাবনার হেমায়েতপুরে পাঠানো যায়না? যারা লেখক সাংবাদিক তারা সারাক্ষন বঙ্গবন্ধুর প্রশংসায় ব্যস্ত। বঙ্গবন্ধু এই করেছেন সেই করেছেন, দেশ বানিয়েছেন, ——। আর জেনারেল ওসমানী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন, মনুসর আলী, কামরুজ্জামান, জিয়াউর রহমান, সিরাজুল আলম খান, আসম আব্দুর রব, শাহজাহান সিরাজ, নুরে আলম জিুক এবং দেশের আপামর জনসাধারন, এবং বিলেত প্রবাসী বাংলাদেশীরা বসে বসে আঙ্গুল চুষছেন। আর —-ছিড়ে আঠি বেধেছেন। এসব ফালতু কথা আর ভালো লাগেনা। বঙ্গবন্ধু যা করেছেন তো করেছেনই। ইতিহাস তাকে অবশ্যই মুল্যায়িত করবে। ইদানিং এক চামচা অর্থনীতিবীদের আর্বিভাব ঘটেছে, ভদ্রলোক যা বলেন আমার মাঝে মধ্যে মনে হয় ভদ্রলোকের পিছন দিক থেকে—- আগুন ধরিয়ে দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকদের ডেকে বলতে উনার চামচামীর জন্য আমি আগুন ধরিয়ে দিয়েছি তোমরা নিভাও। এত চামচামী শিক্ষিত লোকেরা করে কি করে? পদের আশায়? মন্ত্রীত্বের আশায়? মন্ত্রী না হলে কি হবে?
শেষ কথাঃ জনাব তারেক রহমান সাহেব আপনার মা খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে জেলে, সরকার তাকে মুক্তি দিবেনা। আপনার যারা বিএনপি করে তারা ও তার মুক্তির জন্য কিছুই করবেনা। যা করার আপনাকেই করতে হবে। আপনাকে দেশে চলে যেতে হবে। ভয় পেয়ে লাভ নেই। আপনি দেশে গেলে অনেকেই বলছেন আপনাকে সরকার মেরে ফেলবে জেলে দিবে, মেরে ফেলুক জেলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করুক তাতে কোনো অসুবিধে নেই। আপনি দেশে যান। কেউই এ পৃথিবীতে স্থায়ী না। সবাইকে মরতে হবে। আপনার বাবা জিয়াউর রহমান সাহেব মারা গেলেন কিন্তু পাশের রুমে বদরুদ্দুজা চৌধুরী স্যার দিব্যি বেঁচে গেলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি হলেন, তার ছেলে মাহি বি চৌধুরী এখন মন্ত্রী হওয়ার ধান্ধায় আওয়ামী সরকারের গুন কীর্তন করেন সবই তো আল্লার দান মায়ের দোয়া। আপনি আল্লার উপর ভরসা করে দেশের উদ্দেশ্যে আপনার নেতা কর্মী নিয়ে রওয়ানা হয়ে যান। লেনসেন ম্যন্ডালা ২৭ বছর জেলে ছিলেন, কেউ কি কল্পনা করেছিল তিনি বের হবেন? এরশাদ সাহেব যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন স্যার ব্যারিষ্টার মওদুদ স্যারদের কথাবার্তা শুনে মনে হতো এরশাদ সাহেব সারা জীবনই ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এরশাদ সাহেব ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়েছিলেন। মনে রাখতে হবে কোনো স্বৈরাচারই ১৫ বছরের বেশী ঠিকেনা। সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফী কেউই ঠিকতে পারেনি। আইয়ুব খান ইয়াহিয়া খান সবই গত হয়েছেন। সব কিছুর পর আল্লার মার বলে একটি কথা আছে-না? শেষ বিচার হয়, শেষ বিচার হবে, আপনার আমার সবার হবে।
অতএব ভয় নেই, দেশে যান, রাজনীতি করতে হলে দেশে যেতে হবে। লন্ডনে বসে আপনি সরকারের সমালোচনা করে কোনো কিছুই করতে পারবেননা। পৃথিবীতে মায়ের উপরে কিছুই নেই। মা-ই একমাত্র মানুষ যে তার সন্তানকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসে, আমার বিশ্বাস আপনার মা আপনার সব কিছু নিঃশর্তভাবে মেনে নিয়েছিলেন, আপনি যা করেছেন এ জীবনে খালেদা জিয়ার মত মা থাকায় আপনার আর গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং কেসিও বাবরের সব কিছু মেনে নিয়েছিলেন, আমার মা এখনো অনেক কিছু আমার মেনে নেন না। আমার মা এ বয়সে এখনো অনেক ষ্ট্রং, বেশী অন্যায় করলে আমার মা বলে উঠেন ”গেট লস্ট ফ্রম হেয়ার” আপনার মা খালেদা জিয়াকে যদিও বলা হয় আপোষহীন নেত্রী কিন্তু সর্বক্ষেত্রে তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি তারেক রহমানের সাথে আপোষ করেছিলেন। নিঃশর্তভাবে ভালোবেসেছিলেন, আপনার মায়ের সেই ভালোবাসার ঋন আপনাকেই শোধ করতে হবে।
লেখক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব
সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম।
লন্ডন ২৬ মার্চ ২০১৯