ওমরাহ পালনে মোটরসাইকেল নিয়ে মক্কার পথে ২ বাংলাদেশি
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫৯:৩৩,অপরাহ্ন ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ১০১৫ বার পঠিত
ওমরাহ পালন করতে মোটরসাইকেলে করে রওনা দেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশিদের জন্য একেবারেই বিরল। বাংলাদেশের দুই দুঃসাহসী যুবক আবু সাঈদ ও মাসদাক চৌধুরী মোটরসাইকেলে পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন।
ঢাকা থেকে মক্কায় পৌঁছাতে তাঁদের পার হতে হবে প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার রাস্তা। তবে শুধু গন্তব্যের দূরত্বই নয়, রয়েছে বিভিন্ন দেশের অনুমতি গ্রহণের ঝামেলা এবং সন্ত্রাসীকবলিত কয়েকটি জনপদ অতিক্রম করার বিপদ। সব মিলিয়ে মক্কায় পৌঁছাতে তাদের সময় লাগতে পারে প্রায় ২ মাস।
বাংলাদেশি ২ তরুণ গত ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বেনাপেল সীমান্ত দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশে রওয়ানা হন। ইতিমধ্যে তারা ভারত পেরিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছে গেছেন। পাকিস্তান থেকে ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সারজা হয়ে সৌদি আরব প্রবেশ করবেন তারা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের লাহোর হয়ে বর্তমানে করাচিতে অবস্থান করছেন তারা। পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়াটা হয়ে তাফতান বর্ডার দিয়ে ইরানে প্রবেশ করার লক্ষ্য তাদের। তবে পাকিস্তান থেকে ইরানে প্রবেশ করার জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। কারণ পাকিস্তান থেকে ইরানে প্রবেশ করতে তাদেরকে ট্রাভেল সংক্রান্ত অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হবে। সেখান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, শারজা হয়ে সৌদি আরব প্রবেশ করবেন তারা।
উল্লেখ্য যে, মোটরসাইকেলে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বের হওয়া আবু সাঈদের বাড়ি ফেনী আর মাসদাকের বাড়ি চট্টগ্রামে। ভ্রমণপিপাসু দুই বন্ধু একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত। সময় পেলেই তারা বেরিয়ে পড়তো কোনো না কোনো অজানার উদ্দেশ্যে। এবার তাদের গন্তব্য সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থি কাবা শরিফে। যেখানে তারা ওমরাহ পালন করবে। জিয়ারত করবে মদিনা অবস্থিত প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রওজা।
গত ৫ ডিসেম্বর তারা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। এরপর কলকাতা, বেনারস, অমৃতসর, পাঞ্জাব হয়ে ওয়াগাহ সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের লাহোর যান।
বর্তমানে লাহোর পার হয়ে করাচিতে অবস্থান করছেন সাঈদ ও মাসদাক। ইরানে প্রবেশ করতে পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে ভ্রমণ-সংক্রান্ত অনুমতিপত্র সংগ্রহের কাজে কিছুদিন করাচিতে থাকতে হবে তাদের। অনুমতি মিললেই ইরানে প্রবেশ করে সেখান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় যাবেন। তারপর সৌদি আরব।