ঘড়ি ঘুষখোর ভোট ডাকাত ওবায়দুল কাদের স্যারের কাছ থেকে গনতন্ত্রের ভাষা শিখবেন ডঃ কামাল হোসেন???
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪২:০০,অপরাহ্ন ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ১২৭৫৫৭ বার পঠিত
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী
গত সপ্তাহে বাংলা স্টেটমেন্টে লিখেছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা, সেখানে উল্লেখ করেছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় এক সময় বলেছিলেন বাংলাদেশ জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে। এখন বিএনপি যদি কূটনীতিকদের ব্রিফ করে সেটা নাকি হয় সংবিধান পরিপন্থী! সেটি নাকি হয় দেশের আভ্যন্তরীন ব্যপারে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ! আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? যখন বলেছিলেন সেটি কি ছিল? সেটি তো ছিল রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। অনেকে ফোন করে বলেছেন আপনি কি দেশে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়েছেন, এক সহকর্মী ঢাকা থেকে আমাকে লিখেছেন, ” ভাগ্য ভালো যে আপনি লন্ডনে বসে লিখতেছেন এমন সত্য কথা, দেশে থাকলে আমাদের মত গাধা সেজে থাকতে হতো, নয়তো হামলা মামলা বা ক্রসফায়র, তবু ও ধন্যবাদ যে আপনি সত্য লিখতেছেন, কিন্তু আমরা তো বোবা হয়ে গেছি। দোয়া করবেন যেন এদেশে অপমৃত্যুর স্বীকার না হই।
ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে বসবাসরত জাতীয় পার্টির নেতা নাসির উদ্দিন হেলাল, হেলাল ভাই লেখা পড়েই একটা ফোন করবেন, বার বার সাবধান করে দিবেন তুমি এভাবে লিখবেনা, তুমি বুঝতেছনা সরকার অনেক গরম। তুমি বিপদে পড়ে যাবে। আরেক বন্ধু সাবধান করে দিয়েছেন, বলেছেন চ্যানেল আই ইউরোপ ঢাকা চ্যানেল আইকে দিয়ে বন্ধ করেছে শেখ হাসিনার সরকারের হাই-কমান্ড। এখন বাংলা স্টেটমেন্টও বন্ধ করে দিবে। বলেছি কোনো অসুবিধে নেই। বলো তোমার আওয়ামী সরকারকে আমার সব কিছু বন্ধ করে দিতে। বাংলা স্টেটমেন্ট বন্ধ করে দিলে তো আমার কি হবে? আমি তো আমার চ্যানেল হারিয়েছি সেখানে আমার ক্ষতি হয়েছে ৪ কোটি টাকা, তারপর আমার লোন আছে চ্যানেল চালাতে গিয়ে আরো ৪ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে লস করেছি ওয়ান পয়েন্ট টু মিলিয়ন পাউন্ড। এই ওয়ান পয়েন্ট টু মিলিয়ন পাউন্ড তো আমার কালো টাকা ছিলনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি করে আর ব্যাংকের লোন মেরে তো লন্ডনে টেলিভিশন করিনি, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি করে লন্ডনে বা আমেরিকায় বাড়ী করিনি, সুপ্রিম কোর্টে বসে অবৈধ বেইলের মামলা করে টাকা কামাই করিনি, পাওয়ার প্লান্ট করিনি, প্রবাসীর জায়গা জমি আত্মসাৎ করিনি, অবশ্য প্রবাসীর জায়গা জমি আত্মসাৎ করতে হলে সিলেটে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হতে হয়! এভরি সিঙ্গুল পেনি আমার হালাল ছিল। বাংলাদেশ সরকারের রক্ত-চক্ষুকে কি আমি ভয় করি? এক আল্লাহ ছাড়া আমি কাউকে ভয় করিনা। সত্য কথা বললে আঘাত আসবে, অন্যায়কারীরা ধাবিয়ে রাখতে চাইবে তাতে যদি আপনি ধমে যান তাহলে অন্যায়কারীরা প্রশ্রয় পাবে। মাথায় উঠে নাচবে।
সে যাক, ডঃ কামাল হোসেন স্যারের সাথে আমার ভালো একটা সম্পর্ক সেই অনেকদিন থেকে, সম্পর্কের জন্য দায়ী অবশ্য বর্তমানে সিলেটের বিশ্বনাথ এবং বালাগঞ্জের এমপি জনাব মোকাব্বীর খান। কামাল হোসেন স্যার যখনই লন্ডনে এসেছেন তখনই আমি মোকাব্বীর ভাইকে বলেছি চ্যানেল আই ইউরোপের লন্ডন ষ্টুডিওতে কামাল হোসেন স্যারকে নিয়ে আসতে। অনেকদিন স্যার আসতে চাননি জোর করে নিয়ে এসেছি। ২০১৫/১৬ এর কোনোএকদিন আমি মোকাব্বীর ভাই এবং কামাল হোসেন স্যার আমার অফিসে বসে কথা বলেছিলাম, কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরাই লাইভে ঢুকবো, এর আগে মোকাব্বীর ভাইয়ের সাথে আমি কথা বলেছিলাম যে আওয়ামীলীগ সরকার যেভাবে ভোটারবিহীন নির্বাচন করছে এক সময় দেখা যাবে দেশ থেকে নির্বাচনের পরিবেশ সব শেষ হয়ে যাবে, মানুষ ভোট দিতে যাবেনা। মোকাব্বীর ভাই বলেছিলেন কামাল হোসেন স্যার তো কোনো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যেতে চাননা। আমি বলেছিলাম বিএনপির সাথে ঐক্যবদ্ধ একটি প্লাটফরম করা যায়না? মোকাব্বীর ভাই বলেছিলেন স্যার বিএনপির সাথে যাবেননা, জিজ্ঞাস করেছিলাম কেন? তিনি বলেছিলেন স্যার জামাতকে সহ্য করতে পারেননা। বলেছিলাম জামাতের সাথে যাওয়ার দরকার নেই। বিএনপির সাথে যেতে বলুন। মোকাব্বীর ভাই বলেছিলেন লন্ডনে তিনি আগামী সপ্তাহে আসছেন ব্যাপারটি নিয়ে আপনি কথা বলুন।
স্যার আসলেন লন্ডনে, আসলেন তিনি ষ্টুডিওতে, আমি বললাম স্যার আপনার ভাইস্তিরা তো আপনাকে কতটুকু ভালোবাসেন তা আপনি যেমন জানেন আমরাও জানি। দেশের এই রাজনৈতিক ক্রান্তি লগ্নে আপনি বিএনপি সহ অন্যান্য দলের সাথে ঐক্যবব্ধভাবে একটি প্লাটফরম করতে পারেন কি-না ভেবে দেখুন, সাথে সাথে মোকাব্বীর ভাই বলেছিলেন স্যার সব কিছুই তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ তো ভোটের রাজনীতি করেছে সারা জীবন, এখন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রী হয়ে ভোট ছাড়াই জনগন ছাড়াই নির্বাচন করছেন। আপনি বিষয়টি ভেবে দেখুন, কামাল হোসেন স্যার খুবই সতর্কতার সহিত মোকাব্বীর ভাইয়ের দিকে তাকিয়েছিলেন, আমার দিকেও তাকিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম স্যার আমরা কি ভুল বলেছি? যদি ভুল বলে থাকি তাহলে ক্ষমা করবেন। কামাল হোসেন স্যার বলেছিলেন ভেবে দেখবো। পরবর্তীতে আমরা লাইভ প্রোগ্রামে ঢুকে পড়ি। যাওয়ার সময় স্যার বলেছিলেন আপনারা যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেখানে বেশ কিছু নীতিগত সমস্যা আছে, জিজ্ঞাস করেছিলাম কি সমস্যা? স্যার বলেছিলেন জামাতের ব্যাপার আছে, তা ছাড়া বিএনপিতে নেতৃত্ব নিয়েও সমস্যা আছে, বলেছিলাম স্যার আপনি যদি বেয়াদবি না নেন তাহলে একটি কথা বলি, বলেছিলেন বলুন, আমি বলেছিলাম স্যার আওয়ামীলীগ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে জামাতের সাথে আন্দোলন করেছিল, গোলাম আাজমের দোয়া নিতে গিয়েছিল, একই ইফতার পার্টিতে আব্বাস আলী খানের পাশে বসেছিল, জিল্লুর রহমান সাহেবের করমর্দনকৃত ছবিও আমরা পত্রিকার পাতায় দেখেছি, আপনি তো তার কিছুই করেননি। আপনি আন্দোলন করবেন ভোটের জন্য, গনতন্ত্রের জন্য, বলেছিলাম স্যার বিএনপিও ওয়ান ইলেভেনের আগে সমান কাজ গুলো করতে চেয়েছিল, ইয়াজউদ্দিন স্যারকে দিয়ে আর আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন দিয়ে, সেদিন তো আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে তত্তাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়েছিলেন, আপনাদের আন্দোলনের ফসলই তো ছিল বর্তমান আওয়ামী সরকার। স্যার শুধু আমার কথা শুনলেন কিন্তু হ্য না কিছুই আমাদেরকে বললেননা। মোকাব্বীর ভাই স্যারকে নিয়ে চলে গেলেন, আমি আমার অফিসের নীচে গিয়ে স্যারকে বিদায় দিয়েছিলাম। মোকাব্বীর ভাইর গাড়ীতে স্যার উঠার সময় আমাকে বলেছিলেন দোয়া করবেন শরীরটা ভালো যাচ্ছেনা, কয়দিন বাচি তার কোনো হিসেব নেই। সেই সময়ে কামাল হোসেন স্যারের পায়ে প্রচন্ড ব্যাথা ছিল তিনি হাটতে পারতেননা। রাত তিনটার দিকে মোকাব্বীর ভাই ফোন করে বলেছিলেন স্যার ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন। পরবর্তীতে স্যার লন্ডনে এসেছিলেন জিজ্ঞাস করেছিলাম স্যার কি করলেন? বলেছিলেন সময় এখনো আসেনি সময় মত করার চেষ্টা করবো। স্যারকে জিজ্ঞাস করেছিলাম স্যার শুনেছি ভারত—- নাকি আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে বেশ কষ্ট করেছে? কামাল হোসেন স্যার এমন একটি কথা বলেছিলেন যা অতীতে আমি তার মুখে এমন কথা শুনিনি। মোকাব্বীর ভাইকে বলেছিলাম স্যারের মুখে এ ধরনের বিপ্লবী কথা তো এর আগে কখনো শুনিনি, মোকাব্বীর ভাই বলেছিলেন্ স্যার অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে এসব কথা বলেন। বলে আবার বলেন এ ধরনের শব্ধ ব্যবহার করা উচিৎ না।
প্রিয় পাঠক অনেকদিন পর স্যারের মুখে দ্বিতীয় আরেকটি বাক্য শুনলাম, তিনি বলেছেন এ সরকার পদত্যাগ না করলে লাথী মেরে নামাতে হবে। লাথী মেরে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। কামাল হোসেন স্যারের এসব কথা আরো আগে বলা উচিৎ ছিল। তিনি যদি আরো আগে এসব ভাষা বলতেন তাহলে রাজনীতি ভালো মানুষের নিয়ন্ত্রনে থাকতো, চুর বাটপার টাউটদের হাতে রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো না। আজ ভোটের রাজনীতি বিলুপ্ত, মানুষ ভোট দিতে যায়না, এমনকি আওয়ামী সমর্থক যারা তারাও তো এবারের ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোট প্রত্যাখান করেছে। অপদার্থ একটা নির্বাচন কমিশনের মুখপত্র টুপি পরে কথা বলে, আমার মনে হয় নামাজও পড়ে, নামাজ পড়ে আবার মিথ্যা কথা বলে। বর্তমান অবৈধ সরকার সব কিছুকেই দলীয়করন করেছে, এমন কি সেনাবাহিনীকে আজিজ বাহীনিতে রুপান্তরীত করেছে। শুনেছি আজিজ সাহেবের মেয়াদ নাকি আগামী মে মাসে শেষ হয়ে যাবে। আজিজ সাহেব নাকি চাচ্চেন তার মেয়াদ বাড়াতে কিন্তু সরকার সেটি চায়না, এ নিয়ে নাকি সম্পর্কের কিছু টানাপোড়ন চলছে, জানিনা শেষ পর্যন্ত কি হবে—–।
আমাকে অনেকেই বলেন আপনি বিপ্লবী কথা বার্তা বাধ দেন, বয়স হয়েছে, কথাবার্তায় সংযমী হোন, লেখালেখিতে আরো শালীনতা নিয়ে আসুন, জিজ্ঞাস করেছিলাম কি রকম শালীনতা? বলেছিলেন চুর-কে চুর বলবেননা, চুর বলা যায়না। আমি বলি তাহলে চুর-কে কি আমি বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব বলবো নাকি? এখন উবায়দুল কাদের স্যার ঘড়ি ঘুষ নিয়েছেন, তাকে আমি কি বলবো? তাকে কি বলবো তিনি বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিবের কাজ করেছেন? আপনারা কি শুনেছেন প্রিয় পাঠক বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব কখনো কোনো কাজের জন্য ঘড়ি ঘুষ নিয়েছেন? সে যাক কামাল হোসেন স্যার যখনি বলেছেন এ সরকার পদত্যাগ না করলে লাথি মেরে নামাতে হবে, লাথি মেরে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে, সাথে সাথেই কাদের স্যার বলেছেন এটি নাকি রাস্তার ভাষা, এটি নাকি গনতন্ত্রের ভাষা নয়। নেন এখন কামাল হোসেন স্যারকে উবায়দুল কাদের স্যারের কাছ থেকে ভাষা শিখতে হবে। যে লোক ঘড়ি ঘুষ নেন সে লোক কামাল হোসেন স্যারকে ভাষা শিখান। যাব কোথায়? যারা ভোটারবিহীন নির্বাচন করে এক টার্ম না দুটার্ম ক্ষমতায় গায়ের জোরে ঠিকে থাকতে চায় তারা যখন ভাষা শিখায় তখন বলতে ইচ্ছে করে ও মাটি তুই ফেটে যা আমি তোর ফেটে যাওয়া গর্তে ঢুকে আত্মহত্যা করি। বর্তমান সরকার নির্বাচন- ভোটকে কি মনে করে আমি জানিনা। তারা কথায় কথায় বলে দেশের ১৬ কোটি মানুষ নাকি তাদেরকে সমর্থন করে তারা কথায় কথায় পত্রপত্রিকায় তাদের অধীনস্ত যে সব দালাল সম্পাদক রয়েছে, যে সব দালাল টিভি রয়েছে, সেখানে নিউজ করার জন্য বলে যে বলো বিদেশের অমুখ ইনিষ্টিটিউশন বলেছে শেখ হাসিনা বিশ্বের দু নাম্বার পাওয়ারপুল প্রধানমন্ত্রী। মধ্যখানে শুনেছিলাম শেখ হাসিনা নোবেল পুরস্কারে ভুষিত হচ্ছেন।
হায়রে আমাদের সিনিয়র সম্পাদকও নেই আল্লাহ তার মুখ ডেকে ফেলেছেন, আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসীব করেন, আমাদের গোলাম সরওয়ার সাহেব শেষ বয়সে এসে একটি বক্তব্য রেখে সারা জীবনের রেপুটেশনকে নিজ থেকেই হত্যা করে পরাপরে চলে গেলেন। এসেবর কি দরকার? একজন সাংবাদিকের কাজ কি? সমাজের অন্যায় অত্যাচার তুলে ধরা। সাংবাদিক যখন রাজনৈতিক দলের, সাংবাদিক যখন সরকারের দালালে পরিণত হয় তখন জাতীর সামনে চলে আসে অন্ধকার। একটি দেশের একটি জাতীর দুটি দিক থাকতে হবে পরিস্কার এবং স্বচ্ছ। এক জুডিশিয়াল সিষ্টেম, বিচার ব্যবস্থা। দুই সাংবাদিকতা। এবারের ব্রিটিশ নির্বাচনে দুটি বিষয়ই কতটুকু স্বচ্চ ছিল তা অনেকের মত আমাকেও ভাবিয়ে তুলেছিল। প্রিয় পাঠক বৃটেনের সাধারন নির্বাচনের আগে আপনাদের মনে আছে কি-না আমি জানিনা, ব্রেক্সিট ইস্যুটি হঠাৎ করেই সুপ্রিম কোর্টে চলে গিয়েছিল, পার্লামেন্ট স্থগিত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সভাপতি মিসেস লেডি হেল সহ ১১ জন বিচারপতি বরিস জনসনের পার্লামেন্ট স্থগিতকে ”অনলফুল” বলে রায় দিয়েছিলেন! বরিস জনসন বলেছিলেন আমি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিন্তু আমি ষ্ট্রংলী দ্বিমত পোষন করছি এ রায়ের। দ্বিতীয়টি ছিল বিবিসি সহ সব কটি মিডিয়া ছিল ইউরোপের পক্ষে। বৃটিশ বিচার বিভাগ এবং সাংবাদিক দুটি সংস্থাই চলে গিয়েছিল বরিস জনসনের বিপক্ষে। কনজারভেটিব পার্টির অনেকেই ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কারন বিবিস সহ সবাই যদি বরিস জনসনের বিপক্ষে চলে যায় তাহলে নির্বাচনে পাশ করা মুশকিল হবে। এমন কি এলবিসি রেডিওর জনপ্রিয় উপস্থাপক যিনি বরিস জনসনের ঘনিষ্ট বন্ধু তিনি শিশুদের ব্যাপারে প্রশ্ন করতে গিয়ে হঠাৎ প্রশ্ন করে বসেছিলেন বরিস জনসনকে যে তোমার ছেলে মেয়ে কয়টা। কথিথ আছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের লাভ চাইল্ড রয়েছে। বৃটেনে স্ত্রী থাকা অবস্থায় যদি অন্য কোনো মহিলার সাথে পুরুষের সম্পর্কের কারনে বাচ্চা হয় সেটিকে লাভ চাইল্ড বলে। বরিস অচমকা সেই প্রশ্নে বিচলিত বোধ করে উত্তর এড়িয়ে গিয়েছিলেন। নির্বাচনে বরিস জনসনের কনজারভেটিব পার্টি নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন করার পর বরিস বলেছিলেন তিনি জুডিশিয়াল সিষ্টেমে রিফর্ম আনতে চান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপদেষ্টারা তাকে বলেছেন এটা করা ঠিক হবেনা। বিবিসিতেও সমান অবস্থা হয়েছিল নির্বাচনের সময় মোটামুটি সবাই ইউরোপের পক্ষ নিয়েছিল। সাংবাদিকদের কাজ কি পক্ষ নেওয়া? বিচার বিভাগের কাজ কি পক্ষ নেওয়া? আমাকে অনেকেই মনে করেন আমি বিএনপির লোক, আমি ডঃ কামাল হোসেন সাহেবের লোক, আরে বাবা আমি আমার লোক, আমি মানুষের লোক, আমি যেখানে অন্যায় আত্যাচার নির্যাতন যেখানে গনতন্ত্র ভুলন্টিত, যেখানে ভোট নির্বাসিত, যেখানে উন্নয়নের নামে খুন গুম হত্যা সেখানেই আমি, সেটি আওয়ামীলীগ হোক বিএনপি হোক, আর জাতীয় পার্টি হোক, সেখানে লেবার কনজারভেটিব হোক তাতে আমার কিছুই যায় আসেনা। আমি আজ কয়েক দিন থেকেই চিন্তা করছিলাম ডঃ কামাল হোসেন স্যারের কার্যক্রম নিয়ে কিছু লিখবো, কারন তিনি কোনো কথা বলছেননা। তিনি তার ভাইস্তীর সব কর্মকান্ড সমর্থন করে যাচ্ছেন, ২০১৪, ২০১৯ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন করার পর আবার ঢাকা সিটি নির্বাচন করেও আওয়ামীলীগ সরকার নাকে সরিষার তৈল মর্দন করে দিবানিদ্রায় আরাম করে, ডঃ কামাল হোসেন কথা বললে ঘড়ি ঘুষখোর ওবায়দুল কাদের স্যার গনতন্ত্রের সংজ্ঞা শিখান ভাষা শিখান, স্যার কত বড় ভাষাবিদ শহীদুল্লাহ হয়েছেন, স্যারের লজ্জা শরম নেই, সেদিন স্যারের অনেক কাহিনী শুনলাম, স্যার নাকি আবার বিশ্বপ্রেমিকও, স্যার এক সময় কোনো এক ব্শ্বিবিদ্যালয়ের মেয়ের সাথে প্রেম করে বেড়াতেন । ওটাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। স্যার প্রেম করতে পারেন, কিন্তু গনতন্ত্রকে হত্যা করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তো প্রিয় ওবায়দুল কাদের স্যার বিশ্বপ্রেমিক হতে পারেননা। হে আল্লাহ আপনি উবায়দুল কাদের স্যারকে হেদায়ত করো- আমীন।
লেখক সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম
সাবেক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব
সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ
লন্ডন ১১/০২/২০২০ ইংরেজী- মঙ্গলবার