বাবা তারেক তুমি বিএনপির অনেক ক্ষতি করেছ—- মেজর আখতার সাহেবরা কোন উপকারটা বিএনপির করেছেন? —–। বিএনপির কোনো পলিটিক্যাল থিংক ট্যংক আছে?
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:১৯:০৩,অপরাহ্ন ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ১৬৬১৪৯ বার পঠিত
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী
আগামী মাসে বাংলাদেশে মুজিব শতবার্ষিকী উদযাপন করবে আওয়ামীলীগ সরকার, সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে আসবেন বাংলাদেশে, এ খবর কনফার্ম করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ একে মোমেন। যে মুহুর্তেই খবরটি নিশ্চিত করেছেন মোমেন সাহেবে, কাল বিলম্ব না করে বিএনপির মেজর আখতার সাহেব তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন ভারতের নরেন্দ্র মোদী মুসলিম বিদ্বেষী। শুধু এটি লিখেই তিনি ক্ষান্ত হননি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফরকে প্রতিহত করার জন্য তিনি জনগন এবং সুশীল সমাজের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এবং সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রন জানিয়ে থাকলে তা যেন প্রত্যাহার করেন। তিনি নরেন্দ্র মোদীকে চরম, উগ্র, সন্ত্রাসী, মুসলমান ও বাঙালী বিদ্বেষী বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রিয় পাঠক মেজর আখতার সাহেব বিএনপির সাবেক সাংসদ, কথা বলেন অত্যন্ত গুচিয়ে। টেলিভিশনে তার বিভিন্ন টক শো আমি দেখেছি এবং শুনেছি। তারেক রহমান সাহেবের সমালোচনা করতেও শুনেছি। তিনি এটিএন টেলিভিশনে এক টক শোতে বলেছিলেন ”বাবা তারেক তুমি বিএনপির অনেক ক্ষতি করেছ, আল্লার ওয়াস্তে আর ক্ষতি করনা, লন্ডনে আছ সেখানে থাক, রাজনীতি করতে হলে বুকের পাঠা থাকলে দেশে আস, দেশে এসে রাজনীতি করো। আমি তার এ বক্তব্য শুনে মনে মনে বলেছিলাম আখতার সাহেব তো দেখছি তারেক রহমান সাহেব থেকে আরো বড় বিএনপি। আমি সেদিন উপলব্ধি করেছিলাম যে লোক তারেক রহমান সাহেবের সমালোচনা করতে পারে সে অবশ্যই বিএনপির শুভাকাঙ্খী। তবে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কি আখতার সাহেবরা গঠন-মূলক সমালোচনা করেছিলেন? গঠনমুলক সমালোচনাকে সবাই স্বাগত জানায়। তবে বাংলাদেশের মত দেশে সর্ব্বোচ্চ ব্যাক্তির সমালোচনা করলে পদ পদবী ব্যবসা সব কিছু নিয়ে ঠান পড়ে। ক্ষমতায় থাকলে অনেকের হুশ বুদ্ধি থাকেনা। ক্ষমতায় থাকলে আরেকটি বাজে জিনিস কাজ করে সেটি হচ্ছে নেতা বা নেত্রী মনে করেন ক্ষমতা থেকে আর এ জীবনে নামবেননা। আজীবন ক্ষমতায় থেকে যাবেন। বেশ কয়েক কছর আগে এক মন্ত্রীর গাড়ীতে বসে আমি ঢাকায় কোথায় যাচ্ছিলাম, মন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন জানেন, মন্ত্রী হওয়ার পর আমার শরীর মন দুটিই ভালো হয়ে গেছে, মন্ত্রী হওয়ার আগে প্রায়ই তিনি অসুস্থ থাকতেন, জীবনে কিছুই করতে পারেননি। সংসারে তার অবস্থান নেই, রাজনীতি করেছেন সারা জীবন, তার বাবা তাকে বলতেন মাইনাস। শেষ বয়সে এসে এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছেন। পরিবারে সমাজে তার কদর বেড়ে যায়। আমি মন্ত্রীর গাড়ীতে বসে লক্ষ করেছিলাম বেশ ফুরফুরে মেজাজে মন্ত্রী। ব্যপারটি আমি গভীরভাবে অনুধাবন করার চেষ্টা করেছিলাম। মন্ত্রীকে বলেছিলাম আসলে সামনে পিছনে পুলিশ মধ্যখানে আপনার গাড়ী, লাল সবুজের পতাকা গাড়ীর সামন দিয়ে পতপত করে উড়ছে এর জন্যই আপনার মন শরীর দুটিই ভালো, আপনি আরো অনেকদিন বাচবেন। মন্ত্রী আমার কথা শুনে আমার দিকে অপলক দৃষ্টি নিয়ে থাকিয়ে বলেছিলেন আপনি লন্ডনে পড়ে আছেন কেন দেশে চলে আসুন। আমি বলেছিলাম দেশে এসে কি করবো? মন্ত্রী বলেছিলেন আরে দেশে আসুন সব ব্যবস্থা আমিই করে দিব। বলেছিলাম এ দেশ আমার নয়। এ দেশে এ সমাজে যদিও আমি জন্মেছি, কিন্তু আমি মাঝে মধ্যে ভাবি এ দেশে থাকলে সেই কবে আমাকে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলতো। কারন মুখের উপর আপনি যদি সত্য কথা বলেন অনেক সময় মা বাবা পরিবারের লোকজনই বিরক্ত হয়। এমন এক সমাজের বাসিন্দা আমি- যে সমাজে সবাইকে বাতাস দিতে হয়, চামচামী করতে হয়। ইদানিং সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে ভাবি। শহরের সমাজ এবং গ্রামের সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে কত পার্থক্য। এক সময় গ্রামের মেঠো পথ আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকতো, আমি ভেবেছিলাম লন্ডনের যান্ত্রিক জীবনের ইতি ঠেনে দেশে চলে যাবো। কম্পিউটারাইজড জীবন আর ভালো লাগেনা। লন্ডনের ক্যনারী ওয়ার্ফের বিশাল অট্রালিকা আমাকে আর আকর্ষন করেনা। দেশই আমার জন্য ভালো, কিন্তু দেশের যে সমাজ ব্যবস্থা সেখানে গেলে আমি হায়াত থাকতে মরে যাবো। যে সমাজ এখন বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে সেটি তো সুস্থ সমাজ নয়, মানুগুলোর দিকে থাকালে মনে হয় সবগুলো মানুষ কি পুরুষ- কি- মহিলা কেমন যেন অসুস্থ। চারিদিকে অসুস্থ প্রতিযোগিতা! প্রত্যেকটি জায়গায় অসুস্থ লোক বসে আছে। এদের চেহারা ছবি দেখলে মনে হয় পাপ এদেরকে ঝেকে বসেছে। চেহারার মধ্যে কোনো লাবন্যতা নেই। মনে হয় সবাই সবার সাথে মিথ্যা কথা বলে, স্ত্রী স্বামীর সাথে, স্বামী স্ত্রীর সাথে, নেতা তার জনগনের সাথে, শিক্ষক তার ছাত্র ছাত্রীর সাথে, ডাক্তার তার রোগীর সাথে, পুলিশ তার আসামীর কাছে এ যেন চারিদিকে এক অসুস্থ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলা হয়েছে। গত ১০/১২ বছরে বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা কেমন যেন বদলে গেছে, এই বদলে যাওয়াটা সুস্থ বদলে যাওয়া নয়, এ যেন অসুস্থ বদলে যাওয়া। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারেনা। এ এক আর্টিফিশিয়াল জীবন আমরা অতিবাহিত করছি, অতিবাহিত করছি অস্থির জীবন। অথচ এ রকম তো হওয়ার কথা ছিলনা। পরিবারে সমাজে রাষ্ট্রে যদি সুখ না থাকে, শান্তি না থাকে, তাহলে কিসের দেশ কিসের সমাজ? যে সমাজ সম্রাট থেকে পাপিয়া জন্ম দেয় সে সমাজে বসবাস করবেন কি করে? পাপিয়া অথবা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট কে কারা সৃষ্টি করেছে? পাপিয়ার সাথে আমাদের জাতীয় নেতা অশতীপর তোফায়েল আহমদ সাহেবের ছবি দেখলাম, তোফায়েল সাহেবের সাথে পাপিয়ার কি সম্পর্ক? স্বররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে পাপিয়ার কি সম্পর্ক থাকতে পারে? পুরুষ মানুষ নারী দেখলে উতালা হয়ে যায়। তাই বলে জাতীয় নেতারা উতালা হবেন? অবশ্য তোফায়েল সাহেবকে আসাদুজ্জামান কামাল সাহেবকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, জন মেজর সাহেবের মত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এডুইনা ক্যারির সাথে ডাউনিংষ্ট্রীটে———–। বিল ক্লিনটন সাহেব মনিকা লুইনস্কির সাথে হোয়াইট হাউসে——। ক্লিনটন সাহেবকে তো ইমপিচমেন্ট করা হয়েছে।
কিন্তু জন মেজর সাহেব তো ধরা খেয়েছেন ক্ষমতা থেকে যাওয়ার অনেক বছর পর। আমার এক পরিচিত মহিলা আমাকে জিজ্ঞাস করেছিলেন জন মেজর সাহেব ও এই কাজ করেছেন? কাকে বিশ্বাস করবেন। আমার স্ত্রী বলে পুরুষ মানুষ কোনো বিশ্বাস নেই, বুঝি আমাকে খুচিয়ে কথা বলছে। স্ত্রীকে বলেছি আমার পিছনে একটা সিসিটিভির ক্যমেরা লাগিয়ে দাও। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রত্যেক মন্ত্রী এমপিদের পিছনে একটি কিরে সিসিটিভি ক্যমেরা লাগিয়ে দেন। অথবা তাদের গাড়ীতে লাগিয়ে দেন। তাহলে কোনো দুইনাম্বারী কাজ আর করতে পারবেনা। মিথ্যা কথা বলতে পারবেনা। মিথ্যা কথা বলাও যেন এখন একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়ে গেছে। কি সামাজিক জীবনে কি রাজনৈতিক কি পারিবারিক জীবনে, সব জায়গায় মিথ্যা, মিথ্যার কিছু ধরণ পাঠকদের বলি, স্ত্রীর বয়স যদি হয় ৫০ এর উপরে ১০০ তারপরও স্বামীকে বলতে হয় তুমি তো সেই আগের মতই আছ—–। ঐ যে কলেজের ক্যাম্পাসে যে রকম তুমাকে দেখেছিলাম সেই রকমই তুমি আছো—— একটুও বদলাওনি—-। মেয়েদের বয়স বেড়ে গেলে মেইকআপও মুখের চামড়া নিতে চায়না, কিন্তু না নিলে কি হবে মেয়েরা মহিলারা জোর করে দিবেই, দিয়ে বলবে দেখোতো আমাকে সুন্দর লাগছে কি-না? স্বামী বেচারা যদি ঠেকায় থাকে স্ত্রীর কাছে তাহলে বলে তুমি একদম ইন্ডিয়ান নায়িকাদের মত, আর আমার মত স্বামী হলে বলবে আরে বাদ দাও। বুইড়া——-। এই যে আমার মত স্বামী, আমার মা সেদিন বলেছিলেন স্ত্রী যদি বলে তাকে সুন্দর লাগছে কি-না একটু বলে দিস ও ইয়েস ইউ আর রিয়েলি প্রিটি, আমি মাকে বলেছিলাম মা এটি মিথ্যা কথা হয়ে যায়না। মা আমার নিরুত্তর। রাজনৈতিক জীবনে মিথ্যা কথা শুনবেন এই যে জনগনের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে এসেছি!! পাঠক জনগন কিন্তু মোটেই ভোট দেয়নি ভোট কেন্দ্রেও যায়নি। সমাজিক মিথ্যাচার ”আরে কি বলবো একশ প্রোগ্রামে দাওয়াত থাকে, না গেলে মানুষ মাইন্ড করে , হয়তো দু একটি অনুষ্টানে দাওয়াত আছে বলবে শ খানেক প্রোগ্রাম। সে যাক এসব নিয়ে আরেকদিন লিখব।
আজ লিখে ফেলি আখতার সাহেবকে নিয়ে।
এই আখতার সাহেবরা বিএনপির অনেক ক্ষতি করেছেন, আপনি যদি রাজনীতি করেন তাহেল রাজনীতির কিছু নিয়ম কানুন আছে, দলের কিছু নিয়ম কানুন আছে, আপনি দলের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। দলের মুখপত্র যিনি শুধু তিনিই মিডিয়ার সামনে কথা বলবেন। মিডিয়ার কাজ কি? নিউজ করা। যে কোনো নেতাকে দিয়ে কথা বলাতে পারলেই হলো। এই যে মেজর অবঃ আখতার সাহেব ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এটি কি দলের বক্তব্য? দলের বক্তব্য যদি না হয় তাহলে তিনি এসব লিখেন কেন? যুগান্তর পত্রিকা যখন তার ফেইসবকু থেকে স্ট্যাটাসটি হুবুহু পাঠকদের সামনে তুলে ধরেছে তখন তো লিখেছে বিএনপির সাবেক এই সাংসদ। পরিচয়টা কিন্তু তার বিএনপির। বিএনপির সবচাইতে বেশী ক্ষতি করেছেন মেজর আখতার সাহেবদের মত অতি বিপ্লবীরা। মোদীজী মুসলিম বিদ্ধেষী না হিন্দু বিদ্বেষী এটা বিচারের দায়িত্ব কে দিয়েছে আখতার সাহেবকে? আওয়ামীলীগ আমন্ত্রণ জানিয়েছে সেটি বিচার করবে জনগন এবং আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ ভালো করেই জানে মোদিজী কি, এটা কি আখতার সাহেবকে স্বরন করিয়ে দিতে হবে? ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার মুল্য বিএনপিকে দিতে হচ্ছে, তারেক রহমান সাহেব যে ধুয়া তুলসি পাতা আমি তা বলিনা। তারেক রহমান সাহেবের বুঝা উচিৎ ছিল ক্ষমতায় থাকতে হলে সবার মত ভারতেরও সহযোগিতা দরকার। এখন আপনার বাড়ীতে আসলো বিদেশী একজন মেহমান আপনি ডেকে বসলেন হরতাল সেটি কি হয়? বিএনপির কিছু কিছু কাজ কারবার আমার কাছে বৃটেনের লেবার লিডার জেরেমি করবীনের মত মনে হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আসবেন লন্ডন সফরে জেরেমি করবিন যোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প বিরোধী মিছিলে। আবার তিনি দেখা করতে চাইলেন ট্রাম্পের সাথে, ট্রাম্প প্রত্যাখ্যান করেছিলেন জেরেমি করবীনের সাথে দেখা করতে। পাঠক আপনাদের মনে আছে কি-না, গত এপ্রিল ২০১৯ এ ট্রাম্প এসেছিলেন লন্ডন সফরে থেরাসা মে ছিলেন তখন আউট গয়িং প্রধানমন্ত্রী। সে সময়ে ট্রাম্প লন্ডন মেয়র সাদিক খানকে বলেছিলেন তিনি তার জব ভালোভাবে করছেননা। ট্রাম্প বলেছিলেন ”হি সেইড (জেরেমি করবিন) হি ওয়ান্টেড টু মিট টুডে, আই সেইড নো, হি ইজ সামহোয়াট অফ এ নেগেটিভ ফোর্স, আই হেভ ডিসাইডেড নট টু মিট” ট্রাম্প অলসো ওয়ানস এগেইন এটাক্ট লন্ডন মেয়র সাদিক খান একিউজিং হিম অফ ডুয়িং বেড জব। জেরেমি করবীনের এসব কাজ কারবার পরবর্তীতে নির্বাচনে এসে লেবার পার্টিকে চরম মুল্য দিতে হয়েছে। একটি দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হবে। বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্ব সুলভ আচরন করতে হবে। পাঠকদের মনে আছে কি-না জানিনা। বুশ সিনিয়র তখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, নির্বাচন হয়েছিল, নির্বাচনে প্রতিদন্ধিতা করেছিলেন বুশ সিনিয়র, বৃটেনে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জন মেজর, জন মেজর সমর্থন করে বসেছিলেন বুশ সাহেবকে, ঐ সময়ে নির্বাচনে পাশ করেছিলেন ক্লিনটন। ব্যপারটি ক্লিনটন সহজভাবে নেননি। জন মেজর গিয়েছিলেন আমেরিকায় ক্লিনটন নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পরে দেখা করেছিলেন জন মেজরের সাথে। এটি নিয়ে বেশ কানাঘুষা হয়েছিল। বিল ক্লিনটন ইচ্ছে করেই লেইট করেছিলেন। জন মেজর ব্যপারটি বুঝতে পেরেছিলেন কিন্তু করার কিছুই ছিলনা। এক প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরের সময় কি করেছিল বিএনপি মনে আছে? সেটির চরম মুল্য আজো দিতে হচ্ছে বিএনপিকে। বিএনপির নেতারা কি এসব বুঝেননা। আখতার সাহেবরা কি এসব বুঝেও না বুঝার ভান করেন? এক ভূলের মাশুল বিএনপিকে নয় গোটা দেশ এবং জাতিকে দিতে হচ্ছে। অবশ্য বিএনপিতে তৎকালীন সময়ে ভালো পেশাদার কুঠনৈতিকের অভাবও ছিল। মুর্শেদ খান ছিলেন পররাষ্টমন্ত্রী, কেসিও (ঘড়ি ব্যবসায়ি) বাবর ছিলেন স্বররাষ্টমন্ত্রী, ঘড়ি তাহলে বাংলাদেশের রাষ্ট ক্ষমতাকে ছাড়তে চাচ্ছেনা। এখন আবার ঘড়ি কাদের। সে যাক বিএনপিতে তখনও বিদেশ মন্ত্রনালয় দেখার কেউ ছিলনা এখনও নেই। শমসের মুবিন চৌধুরী তো অনেকদিন থেকেই বিএনপির রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। ইনাম আহমদ চৌধুরী শেষ বয়সে ডিগবাজী দিয়ে আওয়ামীলীগে। তাহলে বিএনপির ছায়া বিদেশ মন্ত্রনালয় কে দেখে? লন্ডনে তারেক রহমান সাহেবের আশে পাশে যারা কাজ করেন তাদের বেশীরভাগই তো চামচা প্রকৃতির লোকজন! এদেরকে দিয়ে তো চা- টা তৈরীর কাজ হবে পরারাষ্ট মন্ত্রনালয় চালানোর মত তো দক্ষ লোক নেই। একবার আমার টিভি অনুষ্টান ষ্ট্রেইট ডায়লগে আমি কথা বলেছিলাম আওয়ামীলীগের সময়ের এটর্নি জেনারেল কেএস নবীর সাথে, প্রশ্ন করেছিলাম বর্তমান মন্ত্রী সভা কোন দৃষ্টি কোন থেকে দেখছেন? আমি একজন মন্ত্রীর নাম বলেছিলাম তিনি বলেছিলেন ও তো শেখ রেহানার ঘরের পাকের মাইয়া ছিল। আমি ভয়ে আর কিছু জিজ্ঞাস করিনি। কারন টেলিভিশনের লাইভ প্রোগ্রামে এভাবে কথা বলা ঠিক না। এখন আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি পাশ করে তাহলে তারেক রহমান সাহেবের লন্ডনের বাসায় যারা জি বুয়া এবং চাকর বাকরের কাজ করে তারাই কি বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হবে? কে জানে।
বিঃদ্রঃ লেখা লম্বা হয়ে যায় আমার পাঠকরা বলেছেন সংক্ষিপ্ত করতে। চেষ্টা করি কিন্তু কথার পীটে কথা চলে আসে। বিএনপির কি কোনো থিংক ট্যংস্ক আছে? মেজর আখতার সাহেবরা কি তারেক রহমান সাহেবকে কখনো বলেছিলেন পলিটিক্যল থিংক ট্যংক করার জন্য? তারেক রহমান সাহেবের মাথায় কি এসব কেউ দিয়েছিল? শফিক রেহমান সাহেবের মত মানুষ ছিলেন বিএনপিতে, থিংক ট্যংক করার কি কোনো যুক্তিকথা খুজে পাননি তারা? শফিক রেহমান সাহেব অবশ্য ভালোবাসা দিবস ইন্টিডিউস করেছেন। মুল্লারা এটির তীব্র সমালোচনা করেন। শফিক ভাই তো অন্তত ভালোবাসা দিবস ইন্টিডিউস করেছেন, আখতার সাহেবরা বসে বসে সমালোচনা করেছেন। দল বিক্রি করে এমপি মন্ত্রী হয়েছেন। অথচ দলের প্রতি কোনো দায়িত্ব তারা পালন করেননি। বিএনপি বলেন আর আওয়ামীলীগ বলেন যাদেরকে দল মন্ত্রী এমপি হওয়ার সুযোগ করে দিল সে দলের প্রতি কি কোনো কৃতজ্ঞতা বোধ তাদের নেই? লন্ডনে যুক্তারজ্য বিএনপি কি করছে? তারেক রহমান সাহেব তো লন্ডনে অনেকদিন ধরে। কানে অনেক কথা আসে। অবশ্য যুক্তরাজ্য বিএনপিকে নিয়ে লিখবো ইনশাল্লাহ। এক মহিলাকে নিয়ে নাকি বিএনপি যুক্তরাজ্য কমিটি খুবই ব্যস্ত সময় পার করছে?
লেখক সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম
সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ
সাবেক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব
ইমেইল rafcbanglastatement@yahoo.com
লন্ডন ২৬/০২/২০২০ ইংরেজী