মোদিজী ও ভারতকে নিয়ে বিভ্রান্তি, বিএনপি থেকে ভারত বিরোধী ও শরীক কাঠ মোল্লাদের উষ্টা মেরে বের করে দেন জনাব তারেক রহমান
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫৯:৩০,অপরাহ্ন ১০ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ২৩৩৫৪০ বার পঠিত
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী
আমার পাঠকদের অনেকেই ফোন করে বলেছেন মোদী-জীর- মুজিব বর্ষে বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে একটি লেখা লিখার জন্য। কি লিখবো ভেবে পাইনা। কারন আমি যা বলি সরাসরি বলি, যা লিখার সরাসরি লিখি। এ মুহুর্তে অনেকেই ফেইসবুকে স্টেটাস দিচ্ছেন মুদিজীর বাংলাদেশ সফরকে নিয়ে। ঢাকায় বিএনপির মেজর আখতার সাহেব মুদিজীর সফর প্রতিহত করার ডাক দিয়েছেন! নিউইয়র্কের কবি লেখক বন্ধুবর ফকির ইলিয়াস ৭১ এর স্বাধীনতার সময় যে কৃতজ্ঞতা ভারতকে জানাতে পারেননি সে কৃতজ্ঞতা তিনি ২০২০ সালে জানিয়ে দিয়েছেন। লন্ডনের আওয়ামীলীগ নেতা খসরুজ্জামান খসরু সাহেবও মুদিজীর সফরকে স্বাগত জানিয়ে দুকলম স্টেটাস দিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাহেব বলেছেন মেহমান হিসেবে সর্ব্বোচ্চ সম্মান মুদিজীকে দিবেন, মন্ত্রী নাসিম সাহেব অবশ্য বলেছেন কেউ আঠকাতে পারবেনা তার সফর, তিনি অবশ্য গুন্ডামীর ভাষা ব্যবহার করেছেন, ঘড়ি কাদের স্যার বলেছেন যারা মোদি-জীর ঢাকা সফরের বিরোধিতা করে তারাই মোদি-জি ক্ষমতায় আসার পর ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিল। লেখালেখি এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। যে যার মত করে লিখছেন এবং বলছেন। আমার এ ব্যপারে মত প্রকাশে একটু সমস্যা আছে।
(এক) মুদিজীর দল বিজেপির লন্ডনের নেতাদের সাথে আমার সম্পর্ক বন্ধুত্ব ছাড়িয়ে গেছে। রাত একটা দুইটা তিনটা পর্যন্তও আড্ডা দিতে হয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে। কিন্তু আমি ভারতের সাম্প্রতিক সময়ের হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। আমাকে বেশ কষ্ট দিয়েছে এ বিষয়টি। কারন আমি যে সমাজ থেকে বেরিয়ে এসেছি সে সমাজে তো হিন্দু মুসলিম কোনো ভেদাভেদ ছিলনা। আমি সিলেটে বড় হয়েছি, সিলেটে প্রচুর হিন্দু মানুষ এখনো বসবাস করেন। আমার এক বন্ধু ছিল ছোট বেলার, রমজান মাসে ইফতারের সময় আমাদের বাসায় চলে আসতো, সে অপেক্ষায় থাকতো কবে রোজা রমজান আসবে। আমাদের রোজা রমজান ঈদের অপেক্ষায় থাকতো হিন্দু বন্দুরা , আমি অপেক্ষায় থাকতাম তাদের দুর্গাপুজা কালি পুজা, শ্বরসতী পুজার জন্য, অবশ্য আমার ছিল আরেক ধান্ধা——–।
সে যাক প্রিয় পাঠক আমি আপনি সবাই-ই কম বেশী হিন্দু মুসলিম বৌদ্ব, খৃষ্টান মাল্টি কালচারেল সোসাইটিতে বসবাস করেছি, সেখানে দাঙ্গা হাঙ্গামা ছিলনা। ইন্ডিয়া এমন একটি সেক্যুলার রাষ্ট যেখানে হাজার বছর ধরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশে হিন্দু মুসলমান কোনো দাঙ্গা নেই বললেই চলে। দেশ স্বাধীনের পর যারা ইন্ডিয়াতে চলে গিয়েছিলেন তারা স্বেচ্ছায় চলে গেলেন, কোনো মুসলমান বাংলাদেশে হিন্দুদের আক্রমন করেনি। একবার সিলেটে রংহমহল লালকুটি সিনেমা হল জালিয়ে দেয়া হয়েছিল, তখন সিলেট শহর কিছুটা উত্তপ্ত ছিল, আমার এক হিন্দু বন্ধুর- বন্ধু রাতে নিরাপত্তার জন্য আমার বাসায় থাকতো, পরবর্তীতে শুনেছিলাম সিলেটের কাস্টঘর এলাকায় এক হিন্দু নেতার বাসায় মিটিং এ বসে আমার ঐ বন্ধুর- বন্ধু বলেছিল দাদা আমার তো মনে হচ্ছে কয়েকটা মুসলমানের লাশ ফেলে দিয়ে ইন্ডিয়া চলে যাই, দাদা ধমক দিয়ে বলেছিলেন না, আমরা হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই কবরদার কোনো মুসলমানের গায়ে হাত দিবা না। পরের দিন সিলেটের সব হিন্দু মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন , যার কারনে সেটি বেশীদুর গড়ায়নি। এটাই হচ্ছে সমাজ. আমরা সমাজবদ্ধভাবে বাস করবো, আমরা একে অপরের জন্য বেচে থাকবো।
এর জন্যই তো গান লেখা হয়েছে
মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভুতি মানুষ কি পেতে পারেনা —-।
সে যাক মোদী-জীর দল বিজেপির বেশ বড় বড় নেতা আমার ভালো বন্ধু। কিছুদিন আগে লন্ডনে এসেছিলেন বিজেপির এক প্রভাবশালী নেতা পরিচয় হয়েছিল উনার সাথে। প্রায়ই লন্ডনের বিভিন্ন পার্টিতে দেখা হয় বিজেপির নেতাদের সাথে। সাম্প্রতিক দিল্লিতে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা আমাকে ভাবিয়ে তুলছে, নিজেকে প্রশ্ন করেছি কেন এসব হচ্ছে? এই দাঙ্গা থেকে কে কি এচিভ করবেন? আমি জানিনা। তবে আমি চাই এ দাঙ্গার অবসান হউক। এবং আমার বিশ্বাস মোদিজীর যে গল্প আমি লন্ডনে শুনেছি তাতে মনে হয়েছে মুদিজী একটি বিহিত করবেনই। কারন রক্তপাত মারামারি গালাগালি কেনো সমাধান নয়। আলোচনার টেবিলে বসেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আর্ন্তজাতিক রাজনীতি যে সবাই বুঝেননা তা কিন্তু না। মুদিজী বা ভারত বর্ষে যে সব রাজনীতিবীদ রয়েছেন আমার বিশ্বাস তারা ভালো বুঝেন। আজ থেকে অনেক বছর আগের কথা, কোন একটি রিপোর্টে পড়েছিলাম, লেখা ছিল ”উয়িদিন টু থাউজেন্ড টুয়ান্টী ইন্ডিয়া এন্ড চায়না বিকাম-এ-সুপার পাওয়ার। আমি আমার এক সাংবাদিক বন্ধুকে বলেছিলাম সুপার পাওয়ারের বিষয়টি, বন্ধু লন্ডনের মেইনষ্ট্রিম নিউজপেপারে লেখালেখি করে রিপোর্ট করে। বন্ধু আমার কথা শুনে বলেছিল তাহলে তো ২/১ টি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার কাজ বাড়িয়ে দিল। জিজ্ঞাস করেছিলাম কি রকম? বলেছিল যে সব দেশ সুপার পাওয়ারের পর্যায়ে চলে যায় অলিখিত নিয়ম হলো তাদেরকে কোনো- না- কোনো- ভাবে ধ্বংশ করে দেওয়া। বন্ধু আমার বেশী বুঝার দোষ ছিল। আমি তার সাথে কথা বাড়াইনি।
করনা- ভাইরাসের নাম যেদিন শুনলাম সেদিন কেন জানি আমার ঐ বন্ধুর কথা মনে পড়েছিল। আমার স্ত্রী ডাক্তার, জিজ্ঞাস করলাম করনা ভাইরাস কি? স্ত্রী যা শুনেছে তাই বলেছিল, বলেছিল চায়নার বাদুর থেকে ভাইরাসটার উৎপত্তি, স্ত্রী আমাকে এমনভাবে বুঝালো যে মনে হলো আমি তার রোগী, অবশ্য ডাক্তারদের একটি সমস্যা আছে তারা দুনিয়ার সবাইকে মনে করে রোগী। স্ত্রীকে বলেছিলাম চায়নার লোকেরা জন্তু জানোয়ার সাপ ব্যাঙ ইদুর বাদুর সবই খেয়ে আসছে গত পাচ শ বছর ধরে, এতদিন কিছু হলো না, এখন হঠাৎ করে এসব আষাঢ মাসের গল্প কেন তোমরা মাঘ মাসে বলছো, স্ত্রী জিজ্ঞাস করে তোমার কি ধারণা? বলেছিলাম আমার কাছে তো মনে হয় এটি মেন মেইড। আল্লার তরফ থেকে এটি আসেনি। স্ত্রীকে বলেছিলাম দেখ, কোন দেশ এটি চায়নাকে ধ্বংস করার জন্য পুষ করেছে কি-না? স্ত্রী বলে চৌধুরী সাহেব আপনি বেশী কথা বলেন—–, গাড়ী ড্রাইভ করছিলাম স্ত্রী বললো সুজা গাড়ী চালাও। আমিও আর তর্কে যাইনি। ঐ দিনই রাতে আরেক ডাক্তারের সাথে দেখা, তাকে বললাম করনা ভাইরাসের কথা, তিনিও আমার মতামত জানতে চাইলেন, বলেছিলাম আমার তো মনে হয় চায়না যাতে সুপার পাওয়ার না হতে পারে সেই চেষ্টা? ডাক্তার বলেছিলেন ভাই আপনার মত এত জটিল চিন্তা আামি করতে পারিনা। এর কয়েকদিন পরেই ঐ ডাক্তার সাহেব আমাকে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন আপনার কথাটি অনেক চিন্তা করেছি, আচ্চা আপনার এটি মনে হওয়ার কারন কি, আমি বলেছিলাম ডাক্তার সাহেব রোগী দেখা ছাড়া আর তিন লাইনের প্রেসক্রিপশন লেখা ছাড়া তো কোনো—-বুঝেননা। একদিকে চায়নার করনা ভাইরাস অন্যদিকে ইন্ডিয়ার হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা এবং সেই সাথে ট্রাম্প সাহেবের দিল্লি সফর সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে কি যেন একটা ষড়যন্ত্র। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে চায়না এবং ইন্ডিয়া ষড়যন্ত্রের শিকার। ছোট বেলায় আমি খুব বেশী খাওয়া দাওয়া করতাম, তো আমার এক আত্মীয় আমাদের বাসায় আসলে আমাদের খাওয়া দেখলে তিনি অবাক হতেন। তিনি বলতেন তোমরা যেভাবে খাওয়া দাওয়া করো আর বেশীদিন বাকী নেই পট মানে ভিক্ষার টিন বা ঝুলি হাতে নিয়ে নিবে। করনা ভাইরাস আর বেশীদিন স্থায়ী হলে চায়নাকে এবং ইন্ডিয়ায় যদি হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা স্থায়ীরুপ নেয় তাহলে ভিক্ষার পট বা ঝুলি হাতে নিয়ে নিতে হবে। এসব আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্র ইন্ডিয়া কি বুঝেনা? মোদী-জী কি এসব আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্র বুঝেননা? আমার বিনীত অনুরোধ ইন্ডিয়ান সরকারের কাছে প্লিজ প্লিজ হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করবেননা। ইন্ডিয়াকে ভেঙ্গে টকুরা টুকরা করার কি কোনো সুগভীর যড়যন্ত্র চলছে আমি জানিনা এটা মুদি-জি এবং তার সরকারকে খোজে বের করতে হবে।
(দুই) মেজর আখতার সাহেবের ভারত বিরোধীতার কারনে ভারতের পররাষ্ট সচিব ঢাকায় বিএনপির নেতাদের সাথে দেখা করেননি। না করাটাই খুবই স্বাভাবকি। আমি বুঝিনা বিএনপিতে যারা ভারত বিরোধীতা করেন তারা কোন ক্যটাগিরর রাজনীতিবীদ? বিএনপি কি জাসদ না বাসদ না ওয়ার্কাস পার্টি না কমিউনিস্ট পার্টি? বিএনপি তো বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, খালেদা জিয়াই তো দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনবার। এর আগে জিয়াউর রহমান সাহেব ছিলেন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। বাংলাদেশে যে সব খুচরা দল আছে যাদের জনসমর্থন নেই বললেই চলে, যারা রাজনীতির অঙ্গনে ১৪ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়ার তারা শুধু ভারত বিরোধীতা নয় তারা দুনিয়ার সব মত এবং পথের যদি বিরোধীতা করে তাহলে কার কি যায় আসে? কারন তাদের তো হারানোর কিছুই নেই। ভারত বিরোধীতা করে কে কি এচিভ করেছেন এ পর্যন্ত? তবে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে ভারতের সাথে সম্পর্ক রাখার জন্য তো কাউকে সার্টিফিকেট দেয়নি দেশের জনসাধারন। আসলে বিএনপির তৃতীয় শ্রেণীর যে সব নেতারা রয়েছেন তারা ভারতের নাম শুনলেই কেন তেলে বেগুনে জলে উঠেন? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লবিং করেছেন মুজিব বর্ষে বাংলাদেশে আসার জন্য? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মোদি-জী-কে আমন্ত্রন জানিয়েছেন। যখন আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল তখন তো হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা ছিলনা। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা তো শুরু হয়েছে বেশী দিন হয়নি। একটি দেশের আভ্যন্তরীন ব্যপার নিয়ে বাংলাদেশের কি-ই-বা করার আছে? আর একজন রাষ্ট্রীয় মেহমানকে দাওয়াত দেওয়ার পর দাওয়াত বাতিল করা কি সম্ভব? এসব ব্যপার কি বিএনপির তৃতীয় শ্রেণীর নেতারা বুঝেননা? তারা কি বুঝেও না বুঝার ভান করেন? কে জানে? তা ছাড়া মুদি-জী- ঢাকায় আসলে এমন কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? না আসলেই বা কি হবে? বরং মুদি-জী আসলে ভালো, তিনি দেখে যাবেন বাংলাদেশ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক জলন্ত জীবন্ত উদাহারণ। পৃথিবীতে একটি মাত্র দেশ যেটি যে কোনো সরকারের আমলেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে চলতে পারে, সেখানে বিএনপি আওয়ামীলীগ কোনো ব্যপার-না। বিএনপি ভারত বিরোধী এটা যতটা না সত্য তার চাইতে বেশী অপপ্রচার চালিয়েছে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির কিছু তৃতীয় শ্রেণীর নেতারা। তারেক রহমান সাহেবের উচিৎ এ সব তৃতীয় শ্রেণীর নেতাদেরকে দল থেকে উষ্টা মেরে বের করে দেওয়া। বিএনপির যে সব নেতা ভারত বিরোধী সস্তা শ্লোগান দিতে পছন্দ করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি বেশী দুর যাওয়ার দরকার নেই। আওয়ামীলীগের চুতিয়ামীটা একটু গভীরভাবে বুঝার চেষ্টা করুন প্লিজ, আওয়ামীলীগ মোদী-জি-কে, দাওয়াত করেছে সমান সময়ে সোনিয়া গান্ধীকেও দাওয়াত দিয়েছে। রাজনীতি বুঝতে হবে। শেখ হাসিনা সোনিয়া গান্দীকে দাওয়াত না দিলেই পারতেন। কিন্তু কেন দাওয়াত দিয়েছেন শেখ হাসিনা মনে করেন যদি পা পসকে মোদীজীর, তাহলে কংগ্রেস ক্ষমতায়, গান্ধী পরিবার থেকেই কেউ না কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে। অতএব আগ থেকেই রাস্তা পরিস্কার———। আগ থেকেই সাধু সাবধান।
বি:দ্র: মানুষকে ঘৃনা করে কোনো রাষ্টকে ঘৃনা করে আপনি বেশীদুর যেতে পারবেননা। বৃটেনের ইনোক পাওয়েলের নাম হয়তো অনেকেই শুনেছেন। ইনোক পাওয়েল কনজারভেটিব পার্টির নেতা ছিলেন ৬০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি কালো মানুষদের ব্যপারে বক্তৃতা করলেন ”বিভারস অব ব্লাড” তার বক্তৃতা সে সময়ে খুবই সমালোচিত হয়েছিল। তৎকালীন সময়ের পার্টির নেতা এডওয়ার্ড হীথ ইনোক পাওয়েল কে দল থেকে বহিস্কার করেছিলেন। যারা দলের জন্য লায়বেলীটি তাদেরকে রেখে কি লাভ? শুনেছি বিএনপির মির্জ্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব আব্দুল আউয়াল মিন্টু সাহেব ডঃ মঈন খান সহ আরো অনেকেই চান ভারতের সাথে যে বিরোধ রয়েছে বিএনপির সেটি মিটেয়ে ফেলতে, আমি মনে করি তারা সঠিক কাজটিই করছেন। শুধু ভারতের সাথে নয় আর্ন্তজাতিকভাবে আওয়ামীলীগ বিএনপিকে যে লেভেল অথবা জঙ্গিবাদের ট্রেড মার্ক গায়ে মাখিয়ে দিয়েছে সেটা থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসতে হবে। তারেক রহমান সাহেব লন্ডনে বসে কি করছেন আমি জানিনা, তবে বিএপিতে কিছু ভালো মানুষ এবং ভালো রাজনীতিবীদের দরকার। নিজের ব্যাক্তিগত বিষয়গুলো তো তিনি ঠিকই বুঝেন। বিয়ে করেছেন স্ত্রী পেশায় ডাক্তার, বংশ মর্যাদায়ও স্ত্রী সিলেটের নামকরা বনেদী পরিবারের মেয়ে। এসব যদি বুঝেন তাহলে দলের ব্যপারে কেন তিনি উদাসিন? যদু মধু আলু পটল মুলা দিয়ে তো ভাই দল চলবেনা। দল চালাতে হলে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এক্সপাটিজ লোকের দরকার।
শেষ কথা: করনা ভাইরাসের কারনে শেষ পর্যন্ত মুজিববর্ষে বিদেশী মেহমানরা না আসার সিদ্ধান্ত ঢাকাকে জানিয়ে দিয়েছেন। দেশ হয়তো বড় রকমের এক অশান্তি থেকে বেচে গেল । কিন্তু আমার কথা হচ্ছে বিদেশী মেহমানদের ব্যপারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এখানে মোদিজী হউন আর যে কোনো রাষ্ট্র প্রধান হোন, বিদশী মেহমানদের ব্যপারে নেতীবাচক মানসিকতা পরিহার করতে হবে। দেশ আমাদের সকলের। দেশ আওয়ামীলীগের কোনো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়।
আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন-আমীন
লেখক সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম
সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ
সাবেক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব
৯ মার্চ সোমবার ২০২০ লন্ডন
ইমেইল rafcbanglastatement@yahoo.com