করনা ভাইরাস কি ক্যান্সার? ইতালী প্রবাসীরা বাংলাদেশে যাচ্ছেন কেন? মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাস্ট শার্ট আপ….প্লিজ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩৫:৪২,অপরাহ্ন ১৯ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ২১১৯৮১ বার পঠিত
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী
করনা ভাইরাস নিয়ে পুরো পৃথিবী অশান্ত হয়ে উঠছে। অশান্ত হয়ে উঠছেন আমাদের ইতালী প্রবাসীরা। ইতালী প্রবাসীরা কেন অশান্ত হচ্ছেন? আমি এর কোনো সদুত্তর পাইনি। গতকাল ইতালীর মিলান প্রবাসী সাংবাদিক বন্ধুবর নাজমুল আহসানের সাথে অনেকক্ষন কথা বলেছি। গত প্রায় এক মাস ধরে বন্ধী জীবন কাটাচ্ছেন বাসায়, ছেলে মেয়ে সারাক্ষন বাসায়, কিছুই করার নেই। একটি সমস্যা হলে আপনাকে নিরাপদে থাকতে হবে। চলাফেরায় সাবধানতা নিয়ে আসতে হবে। এই তো আর কিছুনা। গত রাতে আমার এক আত্মীয় ফোন করেছিল। কান্নাজড়িত কন্ঠ। কি-রে কি হয়েছে? বললো ভাই লন্ডনে আছি কেউ তো নেই। মা বাবা ভাই বোন দেশে। আমার বোধহয় করনা দেখা দিয়েছে। আমাকে কেউ দেখতে আসেনা। রাতেই গেলাম তাকে দেখতে। মৃত্যু ভয়ে কাপছে। জড়িয়ে ধরলাম। সে বলে গত ৫দিন কেউ তার সাথে কথা বলেনা হ্যান্ডশেইক করেনা। গত শুক্রবারে জুম্মার নামাজে অনেকের সাথে আমি হাত মিলিয়েছি। অনেকে হাত মিলাতে রাজী নন, জিজ্ঞাস করলাম কেন? বললেন করনা ভাইরাস। জোর করে হাত মেলালাম। আমার ওসব করনা টরনা নিয়ে কোনো ভয় নেই। মৃত্যুর ডাক আসলে কেউই আঠকাতে পারবেনা। আজ্রাইলকে কি আঠকানো যাবে? অতএব্ কিসের ভয়? জন্মিলে মরিতে হবে——।
ছোট ভাই টিকে অরেঞ্জ জুস কমলা কিছু পুষ্টিকর খাবার আর প্যারাসিটামল দিয়ে এসেছিলাম, সকালে ফোন করে বলেছে সে ভালো হয়ে গেছে। কাজে চলে যাচ্ছে, বলেছি পাগলামি করিসনা। কাজে যাওয়ার দরকার নেই। কয়েকদিন রেষ্ট নে। সব ঠিক হয়ে যাবে। করনা ভাইরাস টা কি? তা-ও-তো ডাক্তার বলেন, কবিরাজ বলেন, আর ট্রাম্প সাহেব বলেন, বরিস জনসন বলেন কেউই সঠিক করে বলতে চায়না। সবাই এটাকে পুজি করে যার যার মত ব্যাখ্যা করছে। এটাতো ভাইরাস, ভাইরাসকে প্রটেক্ট করতে হবে। ভয় পেলে চলবেনা। ভাইরাস তো আর ক্যন্সার না। মিডিয়া অনেকটা ব্যাতি ব্যস্ত করে তুলেছে। লন্ডনের বাঙালী কমিউনিটি ফেইসবুক ফাটাইয়া ফেলছে। একজন বয়স্ক লোক মরে গেছে হয়তো এমনিতেই বলে করনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ইতালী প্রবাসী যারা রয়েছেন দয়া করে বাংলাদেশে যাবেননা। আপনারা কেন বাংলাদেশে যাচ্ছেন? বাংলাদেশ থেকে তো ইতালী ভালো। বাংলাদেশে কি হাইজিন সেন্স আছে মানুষের? কোনো সেন্সই তো নেই, না সাধারন মানুষ না সরকার। করনা ভাইরাস বাংলাদেশে হওয়ার তো কথা না, বাংলাদেশে করনা ভাইরাস তো ১২ মাসই বিদ্যমান। চিকনগুনিয়া ডেঙ্গু জ্বর এর পরে করনা ভাইরাস বাংলাদেশের মানুষকে কি করবে? বাংলাদেশের মানুষ তো যত্রত্রত থুথু ফেলে, যত্রত্রত প্রশ্রাব করে। ধান ক্ষেতের পাশে প্রাকৃতির ডাক সেরে ফেলে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছেলেরা দাড়িয়ে যে কোনো জায়গায় পশ্রাব করা শুরু করে দেয়, এক সময় নিজেও করেছি, এখনো ও বাংলাদেশের চরিত্র নিজের মধ্যে পোষন করি। সিলেট শহরে একটি পার্ক ছিল সার্কিট হাউসের পাশে আমি আশির দশকের শেষের দিকের কথা বলছি, একদিন গিয়েছিলাম সেই পার্কে, গিয়ে বসা তো দুরের কথা দুর্গন্ধের কারনে দাড়াতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র ছাত্রী বসবাস করে না জীব জানোয়ার বসবাস করে বুঝা মুশকিল, সরকারী হাসপাতালগুলোর পরিবেশ দেখলে রোগী তো এমনিতেই মারা যাবে। আর ডাক্তার সাহেবদের তো অবস্থা মাসল্লাহ রোগী একটা পেলে হলো, একে কসাইদের মত জবাই না করা পর্যন্ত তাদের নিস্তার নেই।
আসলে মানুষকে কমনসেন্স সাধারন জ্ঞান ব্যবহার করতে হবে। ভাইরাসকে একজন মানুষ নিজ থেকেই হত্যা করতে পারে। এর জন্য ইম্পিরিয়েল কলেজ আর অক্সোফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে যেতে হবেনা। করনা ভাইরাসের ভেক্সিন আবিস্কার করতে নাকি এক বছর সময় লাগবে। ফালতু কথা। এই এক বছর মানুষ কি করবে? আমার কাছে যেটি মনে হয় মানুষ ভয়েই মারা যাচ্ছে। আমি যে এলাকায় থাকি, সেটি হচ্ছে পূর্ব লন্ডন। পূর্ব লন্ডনের কোথাও খাবার নেই। সুপার ষ্টোরগুলোর সেল্প খালি, সব নিয়ে গেছে। গত শুক্রবারে গিয়েছিলাম একটি বাঙালী সুপার ষ্টোর এ গিয়ে দেখি মানুষ আর মানুষ। দোকানী বললেন এটা কি ফয়সল ভাই, চিকেন দুইটা নিবে নিয়ে নিচ্ছে ১০ টা। সমস্যা তো মানুষ ই সৃষ্টি করে ফেলেছে। এখানে ১০ টা নেওয়ার দরকার কি? টয়লেট টিস্যু নেই। ইংলিশ মানুুষ যারা তারা আবার টয়লেট টিসুৃ নিয়ে ব্যস্ত। খাবারের সমস্যা নেই তাদের কাছে। খাবারের সমস্যা হচ্ছে বাঙালীদের । একটু কম খেয়েও জীবন ধারন করা যায়। অন্য মানুষ খাবেনা শুধু নিজে খাবে তা তো হয়না। আমি বাজার করতে গিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম। আমি চিপস দুই পেকেট কিনেছিলাম একজন বললেন আপনি দুই পেকেট নিচ্ছেন কেন? এক পেকেট নেন। নিলাম এক পেকেট, আরেক মহিলা কান্নাজড়িত কন্ঠে বললেন তার ছেলে চিপস খাবে তিনি কোথাও চিপস পাননি। দিয়ে দিলাম আমার শেষ পেকেটটি, মহিলা কৃতজ্ঞতায় কেদে ফেলেলেন, বললেন আপনি কি করবেন, বলেছি বাসায় আলু আছে স্ত্রীকে বলবো আলু থেকে চিপস তৈরী করে ফেলতে। মহিলা বললেন আমার মাথায় এ বুদ্ধি আসলো না কেন? বলেছি বুদ্ধি থাকলে না আসবে। মহিলা বলেছেন এত ফুটানি দেখাবেননা। আমিও ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেছি। বলেছি বাড়ী যান, আপনি ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যা সাগর। বলেছিলাম আপনারা মহিলারা দোকানে একটুু কম আসবেন। বাড়ীতে যা আছে তা-ই রান্না করে ছেলে মেয়েদেরকে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন, মহিলাদের কত রকমের যে সমস্যা শপিং এ গেলে স্বামীর পকেট খালি করে চলে আসে, পারলে পুরো শপিং সেন্টার নিয়ে আসবে। তারপর ও বলবে স্বামী কিপ্টা সমিতির প্রেসিডেন্ট তাকে কিছুই দেয়নি, সব তার বাবার বাড়ী থেকে নিয়ে এসেছে। বাবা যে কোন বিল গেইটস স্বামী জানেনা। সে যাক আমি তো চাউল ডাল কোনো কিছুই ষ্টক করিনি, বাসায় যে জিনিস পত্র আছে তা দিয়ে হয়তো এক সপ্তাহ চলবে। আল্লাহ ভরসা। করনা ভাইরাস নিয়ে কেউ আল্লাহকে ডাকেনা। ডাকে ডাক্তার, দেখে কি বলে। সারাক্ষন টিভির সামনে বসে থাকে। ডাক্তার ও বুঝতে পারছেনা এটি কি? সেদিন এক মহা পন্ডিত আমার সামনে কথা বলছিলেন তিনি আরেকজনকে বুঝানোর চেষ্টা করছিলেন করভিড ১৯ নাকি সবচাইতে শক্তিশালী ভাইরাস। আচ্ছা এটা যদি এত শক্তিশালী ভাইরাস হয় তাহলে গোটা পৃথিবীতে আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে মাত্র ১ লক্ষ ৫৬ হাজার, মারা গেছেন গোটা পৃথিবীতে এ পর্যন্ত ৬ হাজারেরও বেশী। এক বাংলাদেশে খুন গুম হয়ে যায় বছরে ৫/১০ হাজরেরও বেশী, যার কোনো হিসেব থাকেনা সরকারের কাছে। এসব অশিক্ষিত পান্ডিতদের ধরে উষ্টা মারা দরকার। যা বুঝেনা তা নিয়ে কেন কথা বলে? আমি ডাক্তারদের সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছি ডাক্তাররা ও বুঝতে পারছেনা, আমার কাছে যেটি মনে হচ্ছে বায়লজিস্টরা বুঝতে পারবে করভিড ১৯ কত এনএমের অর্থাৎ কত ন্যনো মিটারের ভাইরাস। এসব ভাইরাস মাইক্রোস্কুফ দিয়ে দেখতে হবে, কথা সেটি নয়। কথা হচ্ছে যেই ভাইরাসই আসুক এটাকে তো রুখতে হবে। ঐ যে শ্লোগান দেয় না আর নয় প্রতিবাদ এখন নিবো প্রতিশোধ। আরে বাবা এখন কথা বলার তো সময় নেই। মানুষ বাচাতে হবে। আমেরকিায় বসে গোটা পৃথিবী উড়িয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখেন আর করনা ভাইরাসের টিকা তৈরী করতে এক বছর সময় লাগবে? আজব না এ সব? শুনতেও রুপ কথার গল্পের মতই শুনায়।
ইতিহাস কি বলে বিভিন্ন সময় যে মহামারি বা ভাইরাস হয়েছে সেখানে ১৯১১ সালে কলেরায় ৪ টি মহাদেশে ৮ লক্ষ মানুষ মারা যায়। ১৯২০ সালে স্প্যানিশ ফ্লুতে বিশ্ব জুড়ে ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। ১৯৬৮ সালে হংকং ফ্লুতে ১০ লক্ষ ১৯৫৬ সালে এশিয়ান ফ্লুতে ২০ লক্ষ লোক মারা গিয়েছিল। সে তুলনায় আমি মনে করি করনা ভাইরাস খুব একটা এফেক্ট করেনি। যারা মারা যাচ্ছেন তারা রোগ শোকে আগে থেকেই ভুগছেন। আর বাংলাদেশে কিসের করনা ভাইরাস, বাংলাদেশে কিসের হাইজিন সেন্স? যে পরিমান ধুলো বালি নাক দিয়ে শরীর দিয়ে ঢুকে করনা ভাইরাস নিজেই লজ্জিত হয়ে পালিয়ে যাবে। ঢাকা শহর কি বসবাসের উপযোগী? এক বাসার পিছন আরেক বাড়ীর প্রবেশ পথ! ড্রেইনের যে কি পরিমাণ দুর্গন্ধ। আল্লাহ তোমি রক্ষা করো। ৯০ দশকে স্কটিশ এক কবির সাক্ষাতকার দেখেছিলাম না পড়েছিলাম পত্রিকায় এখন আর মনে করতে পারছিনা, উনি লন্ডনকে বলেছিলেন এত নোংরা শহরে তিনি আসতে চাননা। ঘন বসতি, ঐ কবি যদি ঢাকায় যেতেন তাহলে তিনি কি বলতেন? তিনি ঢাকা শহরকে বোধহয় আলিঙ্গন করতেন। সে যাক ইটালী থেকে যে ভদ্রলোক ঢাকায় নেমে বাংলাদেশকে গালী দিয়েছেন সেটার প্রতিবাদ করেছেন অনেকেই, ঐ ভদ্রলোক কেন গালি দিল কিসের জন্য দিল সে প্রশ্ন কেউ করছেনা। আমি যতটুকু শুনেছি তিনি তার বাচ্ছাদের নাকি খাবার দিতে পারছিলেননা রাগ করে গালি একটা দিয়ে ফেলেছেন। একজন বাবা বা মা সে নিজের কষ্ট সহ্য করতে পারে কিন্তু সন্তানের কষ্ট সহ্য করতে পারেনা। ইতালী প্রবাসীরা দয়া করে ঢাকায় যাবেননা। আপনারা অন্য দেশে যাওয়ার দরকার কি? যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। কতজন গেছে দেশে? শুনেছি ১৪২ জন এই ১৪২ জন ইতালী প্রবাসীকে সামলাতে পারছেনা বাংলাদেশ, বিমান বন্দরে স্ক্যানার মেশিন নেই, থাকলেও সেটি নষ্ট। অথচ আওয়ামীলীগের বড় নেতা, পাতি নেতাদের মুখে সারাক্ষন শুনি দেশ উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে হাটছে। ১৪২ জন ইতালী প্রবাসীর কারনে আমাদের মাননীয় পররাষ্টমন্ত্রী বলেছেন প্রবাসীরা নাকি দেশে গেলে নবাবজাদা হয়ে যান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী করনা ভাইররাসের ব্যাপারে বলেছেন মসজিদে যাওয়ার দরকার নেই। আমি বলি কি দেশের যে অবস্থা তা পরিস্কার করুন। পলিটিক্যাল ব্লাফ মারার চেষ্টা করবেননা। বৃটেনের মত দেশে মাত্র ৫ হাজার ভেন্টিলেশন রয়েছে। সাংবাদিক স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাস করেছে করনা ভাইরাসকে মোকাবেলা করার সব ধরনের ব্যবস্থা আছে কি-না? তিনি ঘুরিয়ে পেছিয়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সাংবাদিক বলেছেন তুমি আমাকে কৃষ্টল ক্লিয়ার উত্তর দাও পাচ হাজার ভেন্টিলেশন যথেস্ট কি-না? তখন তিনি বলেছেন না। ডাক্তাররা নিজেদের রক্ষার জন্য এখন সার্জারীতে রোগীদের যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তারা রোগীদের দেখছেন। এমতাবস্থায় আমি মনে করি যে যেখানে আছেন সেখানে থাকুন, দৌড়াদৌড়ি করার দরকার নেই। আল্লার তরফ থেকে যদি এই মহামারি আসে তাহলে আল্লাহকে ডাকুন, আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করবেন। আর যদি আপনি ঐ যে কিছু সংখ্যক লেখক আছেনা বাংলাদেশে সারাক্ষন কুতর্ক করে নিজেকে বড় পান্ডিত জাহির করার চেষ্টা করে, লিখে মদিনায় করনা ভাইরাস ঢুকলো কি করে? মদিনা কে আল্লার ফেরেশতারা পাহারা দেন, কিছু সংখ্যক লোক প্রশ্ন তুলেছে যেখানে নবী শুয়ে আছেন সেখানে করনা ভাইরাস ঢুকার তো কথা না, মক্কাকে যদি আল্লাহ তালাহ বরকতময় শহর হিসেবে দান করেন তাহলে নবীর শহর মদিনা তো আরো বরকতময় শহর, এখানে করনা ভাইরাস সহ সব ধরনের পাপিদের জায়গা হতে পারেনা। তা ছাড়া আল্লার ঘর বন্ধ করা হলো কেন? আচ্ছা এসব কুতর্কের জবাব কি? আমার এদের প্রতি করুনা হয়। মানুষের জন্ম নিয়ে মৃত্যু নিয়ে বিয়ে নিয়ে কি কোনো কথা বলা দরকার আছে? কে কোথায় জন্ম নিবে কে কোথায় মরবে কে কোথায় বিয়ে করবে আমরা কেউ জানিনা। কিছু ব্যপার আল্লাহ তার নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। একটি গান আছে না—।
জন্ম ,মৃত্যু আর বিয়া… এই তিনটি সত্য দিয়া …..বানাইল মানুষ, আল্লাহ বানাইল দুনিয়া..
প্রিয় পাঠক যারা তর্ক করে কুতর্ক করে তাদের সাথে আমি কেন আমার বাবাও পারবেনা। এই গানটি আমি মাঝে মধ্যে এখনো ও শুনি। সেই ছোট বেলায় শুনেছিলাম। জন্ম মৃত্যু আর বিয়া, আমার আপনার জন্ম কবে কোথায় হয়েছে আমরা কেউই জানিনা। আমাদের জন্ম গতকালও হতে পারতো আজ ও হতে পারতো, এটি বিষয় নয়, বিষয়টি হচ্ছে আমাদের জন্ম হয়েছে, বিয়ের বিষয়টি দেখুন কখন কার সাথে কোথায় বিয়ে হয় আমরা কেউ জানিনা। আর মৃত্যু কখন কোথায় হবে কেউ কি জানেন? অতএব কুতর্ক না করে আর পান্ডিত্য না দেখিয়ে আল্লাহ কে ডাকি যেমনিভাবে আওয়ামীলীগের নেতারা জননেত্রী দেশনেত্রী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু আর বিএনপির লোকেরা শহীদ জিয়া তারেক জিয়া খালেদা জিয়া বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে ঠিক তেমনিভাবে আমরা যদি আল্লাহকে ডাকতে ডাকতে মুখে ফেনা তুলতে পারি ঐ যে গানের কলির মধ্যে বলেছে “মানুষেরই মাঝে দয়াল থাকে লুকাইয়া-“– আমার বিশ্বাস দয়াল আমাদের মধ্যে লুকিয়ে আছেন তিনি আমাদের ডাকে সারা দিবেন, আর যদি সারাক্ষন সেজে গুজে কেউ পিছন দেখিয়ে কেউ সামন দেখিয়ে ছবি পোষ্ট করেন ফেইস বুকে তাহলে অন্য লোকেরা বিরক্ত হয় সাথে আল্লাহ তালাহ ও বিরক্ত হন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বিরক্ত হন তখন তিনি কি করেন? তখন তিনি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ক্যসিনো ব্যবসায়ি, পাপিয়া মন্ত্রী এমপিদের সাপ্লাই ব্যবসায়িদের ধরে জেল খানায় পাঠিয়ে দেন। ঠিক তেমনিভাবে আমাদের পাপের কারনে আল্লাহ তালাহ বিরক্ত হন এবং বিরক্ত হয়ে বিভিন্ন সময় সুনামি ঝড় তুফান, দুর্ঘটনা, করনা ভাইরাস ইত্যাদি সম্মুখীন করেন। এবং আমরা আমাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে থাকি। আসুন সবাই আমরা আল্লার কাছে প্রার্থনা করি এবং বলি হে আল্লাহ আমাদেরকে এই মরনব্যাধি করনা থেকে মুক্তি দিন, আমার বিশ্বাস আল্লাহ আমাদেরকে মুক্তি দিবেন ইনশাল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন আমীন। সুম্মা আমীন।
বিঃদ্রঃ মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মানননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিছু যদি করতে না পারেন তাহলে অন্তত মুখটা বন্ধ রাখুন “জাস্ট শার্ট আপ——প্লিজ“।
লেখক সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম
সাবেক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব
সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ
লন্ডন ১৭/০৩/২০২০ ইংরেজী
ইমেইল rafcbanglastatement@yahoo.com