মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অর্ধশিক্ষিত মন্ত্রী আমলাদের বলুন করনার দোষ ইতালী প্রবাসীদের উপর না চাপাতে, দেশে জরুরী অবস্থা জারী করে করনা মোকাবিলা করুন প্লিজ
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৮:১৬,অপরাহ্ন ২২ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ১২১০৮৮ বার পঠিত
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী
করনা ভাইরাসের কারনে অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করেনা। ইতালীতে মানুষের মৃত্যুর মিছিল দেখলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। আমার জীবনে একসাথে এত মৃত্যু দেখিনি। শুধু শুনেছি, রুপ কথার গল্প শুনতে সবারই ভালো লাগে। চোখের সামনে মৃত্যু অথচ আমি নির্বিকার? আমি বাক রুদ্ধ। এক শ্রেণীর মানুষ এটাকে নিয়ে বাজে কথা বলছে। ইতালী থেকে ১৪২ জন মানুষ বাংলাদেশে গিয়েছিল ওরা নাকি করনা ভাইরাস ক্যারি করে নিয়ে গেছে বাংলাদেশে। করনা ভাইরাস তো শুরু হয়েছে চায়না থেকে। চায়নার মানুষ তো বাংলাদেশে বসবাস করে। কাজ করে। ঢাকার হাজার হাজার মানুষ চায়নার সাথে ব্যবসা করছে। দোষ ইতালী প্রবাসীর কেন? লন্ডনে বেশ কিছু মানুষ ফেইসবুকে ঝড় তুলছে কেউ কেউ বলছেন ইতালী/লন্ডন প্রবাসীদেরকে কি কেউ দাওয়াত দিয়েছে দেশে যাওয়ার জন্য? এ কেমন কথ্ া? একজন মানুষ সে দেশে গেছে। সে যখন ইতালী থেকে বের হয়েছে তখন সে হেলথ সার্টিফিকেট নিয়ে গেছে। ডুবাইতেও তাদের হেলথ চেক করা হয়েছে । ঢাকায় নামার পর তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। মাননীয় মন্ত্রী কি করে বলেন যে প্রবাসীরা নবাবজাদা হয়ে যান দেশে আসলে? হোটেল সোনার গা-র খাবার খেতে চান। লন্ডন ইউরোপ বা আমেরিকার লিভিং ষ্টের্ন্ডাড থ্রি ষ্টার প্লাস এটা তো মানতে হবে। আওয়ামীলীগ সরকার সারাক্ষন বলে আসছে উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে হাটছে সারাদেশ। ১৪২ জন মানুষকে এক বেলা খাওয়াতে পারছেনা? অথচ আওয়ামীলীগের পাপিয়া ওয়েস্টিন হোটেলে মদ বারের বিল পরিশোধ করেছে একরাতে আড়াইলক্ষ টাকা। লন্ডনে কিছু “পেটিকোট“ ভিসাার লোক আছে ওরা বেশী কথা বলে। পেটিকোট ভিসা হচ্ছে যারা ব্রিটিশ মেয়ে বিয়ে করে লন্ডনে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেয়েছে। আমাকে আবার দয়া করে কেউ ভূল বুঝবেননা, আমার এ লেখা পড়ার আগে লাফ দিবেননা। আমি বলেছি “কিছু সংখ্যক“ লোক পেটিকোট ভিসায় বৃটেনে স্থায়ী হয়েছে ওরা বেশী কথা বলে। আর মহিলা কিছু বিয়ে হয়ে দেশ থেকে স্বামীর সাথে লন্ডনে এসেছে, আরে বাপরে বাপ ওদের কথা যদি শুনেন ব-কে-র-বানাতে পারেনা, যা বুঝে আপনার বাপ দাদাও তা বুঝেননা। কাপর চোপর যা পড়ে দেশে বড় হয়ে এসেছে ইংলিশ কাপর যখন পড়ে তখন কি রকম লাগছে একটু দেখবেনা নিজেকে আয়নায়, না, ভাবে ইংলিশ কাপর পড়লেই তিনি ইংলিশ, লাগে ফকিরন্নীর মত এটা কে বুঝাবে। ওদেরকে বলতে চাই “জাস্ট শার্ট ইয়োর ব্লাডি আগলী মাউথ।
আমি শুরু থেকে করনা ভাইরাস নিয়ে সন্দীহান ছিলাম। আজো সন্দিহান। বাংলাদেশে করনা ভাইরাস কে বা কারা নিয়ে গেছে এটা বের করুন। বাংলাদেশে তো গোয়েন্দা সংস্থা খুবই তৎপর। অনেক সময় দেখা গেছে ভাইরাস জন্ম নিয়েছে সাউথ ইষ্ট এশিয়া অথবা আফ্রিকা থেকে। সার্জ ভাইরাস, এইচআইভি কোথা থেকে উৎপত্তি হয়েছিল আমরা সব বুঝি। কিন্তু কথা বলতে পারিনা। আমেরিকার মহামান্য রাষ্টপতি আজ কেন বলছেন এটা চায়নিজ ফ্লু বা ভাইরাস ? রাশিয়া নীরব দর্শকের ভুমিকা কেন পালন করছে? রাশিয়া কেন কথা বলছেনা? নীরিহ মানুষকে ব্লেইম দেয়ার চেষ্টা করবেননা। চায়না থেকে যে রোগের উৎপত্তি সে রোগ এখন আর চায়নায় নেই। সেটি এখন লন্ডনে বিস্তার করেছে। ইটালীর অবস্থা ভয়াবহ। আমি বুঝিনা চায়না থেকে এ ভাইরাস লন্ডনে আসলো কি করে? ব্রিটিশ সরকার কি চায়নিজদের- এর জন্য দায়ী করছে? প্রথম প্রথম এ রোগ যখন দেখা দিয়েছিল তখন লন্ডনে আমি চায়নিজদের দেখলে দৌড় দিতাম। এখন আর সেটা করিনা। কারন এখানে সাধারন চায়নিজদের কোনো দোষ নেই। অথচ বাংলাদেশে এ রোগ দেখা দিয়েছে হয়তো অনেক আগেই। সরকার নির্বীকার ছিল। সরকার তো অন্য কাজে ব্যস্ত। আমাকে দুদিন আগে প্যারিস থেকে ফোন করেছিলেন এনায়েতুর রহমান সোহেল, পেশায় তিনি সাংবাদিক, বললেন কি বলবো প্যারিস সরকার মাইকিং করে বলেছে কেউ যাতে বাড়ী থেকে বের না হন, অথচ প্যারিসে বাংলাদেশ এম্বেসী মহাব্যস্ত মুজিব বর্ষ নিয়ে। বাংলাদেশে মুজিব বর্ষ পালিত হচ্ছে এটা নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। আমকে অনেকেই বলেছেন ভাই ৪ শ কোটি টাকা খরচ হবে মুজিব বর্ষ উদযাপনে, কিছু লিখুন, বলেছি না। এটা নিয়ে আমি লিখতে চাইনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের কাছে আমাদের ঋন অনেক। সে ঋন শোধ করা চাই। বঙ্গবন্ধু, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাবা, মানুষের কিছু দুর্বল জায়গা থাকে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সবচাইতে দুর্বল জায়গা হচ্ছে তার বাবা। এ জায়গায় হাত দেয়া যাবেনা। আমার এক ভাগনী অনেক আগে বাংলাদেশে একবার আমাকে বলেছিল মামা আমি এমনিতেই গরীব মানুষ। পাচটা টাকা ছিল আমর শেষ সম্বল, একদিন এক ফকির বেটি এসে খালার ছবি দেখে জিজ্ঞাস করেছিল উনি কে? বলেছিলাম আমার খালা লন্ডনে বসবাস করেন, ফকির বেটি বলেছিল উনি দেখতে যেমন সুন্দরী দেখবা ভবিষ্যতে উনি আরো বড় হব্,ে ভাগনী এ কথা শুনে তার শেষ সম্বল পাচ টাকা ফকির বেটিকে ধরিয়ে দিয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আওয়ামীলীগের কিছু সংখ্যক ফকির বেটা আর ফকির বেটিরা লুটে পুটে খাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে। ওরা খাবে কিছুই করার নেই। প্রধানমন্ত্রী যে বুঝেননা তা কিন্তু নয়। তিনি বুঝেন। একসাথে সবাইকে তো আর সাইজ করা যাবেনা।
সে যাক আমি আমার পাঠকদের বলতে চাই করনা ভাইরাস নামে পৃথিবীতে যে আতংক সৃষ্টি করা হয়েছে সেটি মানব রচিত। এটি আল্লার তরফ থেকে এসেছে বলে মনে হচ্চেনা। আপনারা যারা ভয় পাচ্ছেন দয়া করে ভয় পাবেননা। আমি ভয় পাইনা বলেই যাকে দেখি তার সাথে হাত মিলাই। হ্যন্ড শেইক করি। ৬০ বছর যাদের বয়স অথবা তার নীচে আপনারা কেউই হাসপাতালে আপাদত যাবেননা। ৬০ এর উপরে হলে টান্ডা অনুভব করলে ডাক্তারের শরানাপন্ন হতে পারেন। জ্বর কাশি হলে বাসায় থাকুন এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। লন্ডনে যারা বসবাস করেন ইউরোপে এবং বাংলাদেশে যাদের ডায়বেটিক্স রয়েছে তারা নিমুনিয়ার ইনজেকশন নিয়ে নিবেন প্লিজ। করনা ব্যপারে কিসের ডাক্তার আর কিসের হাসপাতাল। আমি সব কিছু লিখতে পারছিনা। বুঝার চেষ্টা করুন প্লিজ——। একটি কথা মনে রাখবেন এখন থেকে আর সাদ্দাম হোসেনের ইরাক যুদ্ধ অথবা সিরিয়ার যুদ্ধ যেভাবে হয়েছিল সে রকম হবে না। এখন আমরা স্মার্ট হয়েছি এখন আমরা যুদ্ধ করবো করনা ভাইরাসের মত—— ছেড়ে দিলাম এক দেশে তারপর বিশ্বব্যপী অটোমেটিক্যলী ছড়িয়ে যাবে। আর বাংলাদেশের মত দেশে তৃতীয় শ্রেণীর কিছু আমলা আর মন্ত্রীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিবে এ ভাইরাস আমার দেশের কেউ নিয়ে আসেনি ঐ যে ইতালী অথবা লন্ডনে যারা থাকে তারাই নিয়ে এসে আমাদের দেশে———। তাদের দলের আরো কিছু গন্ড মুর্খ নেতারাও ফেইসবুকে ইতালী প্রবাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করে দিলেন , এখন তিনি কি বুঝতে পেরেছেন আর কি বুঝতে পারেননি এটা কোনো বিষয় না। ঐ যে মিছিলে ২০০ টাকা দিয়ে ভাড়া করে লোক নিয়ে আসে, বলে তোর কাজ হচ্ছে মিছিলে শুধু বলবে মানিনা মানিনা, সাংবাদিক জিজ্ঞাস করেছে কি মানেন না? বলে জানিনা জানিনা। তো আওয়ামী কিছু সংখ্যক চামচাদের অবস্থা হয়েছে তাই।
প্রিয় পাঠক আজকের লেখা লম্বা করতে চাইনা। আমার সব লেখা নাকি লম্বা হয়ে যায়। লন্ডনের লেখক সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন ভাই, ঢাকা থেকে আজিজুস সামাদ ডন সাহেব বলেছেন একটা টপিকের উপর আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে। কিন্তু এত ইস্যু কোনটি ছেড়ে কোনটি লিখি, এত কথা মনের মধ্যে জমে আছে যে লিখতে গেলে একটার পিছনে আরেকটি চলে আসে। আমার পাঠকদের অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাস করেন আপনি এত কথা কোথায় পান। যারা আমাকে জেলাছ করেন হিংসা করেন তাদেরকে সবিনয়ে বলি আপনারা আমাকে দয়া করে জেলাস হিংসা করবেননা। কারন আপনার লেভেল আর আমার লেভেল এক নয়। গত ৩০ বছরে এই লন্ডনে যা দেখেছি তা নিয়েই তো ১০/১৫ টা বই লিখতে পারবো। এই আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে যাদের চামচামী দেখেছি তা নিয়েই তো বই লিখা যাবে। ওয়ান ইলেভেনের সময় লন্ডনে কারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এজওয়ার রোডের ফ্লাট থেকে লাগেজ নামিয়ে দিয়েছিলেন এটা নিয়ে তো একটা বই লিখা যাবে না কি? আমাকে কেউ হুমকি দিবেননা। আমাকে কেউ বাংলাদেশ দেখাবেননা। আমি বাংলাদেশে নাইবা গেলাম। তো কি হবে? আর বাংলাদেশে গেলে কেউ আমাকে কিছুই করতে পারবেনা। কারন আমি লিখি। আমি লেখক সাংবাদিক। আমি আওয়ামীলীগের পক্ষেও নই বিপক্ষে ও নই। আমি যা কিছু অন্যায় সেটির প্রতিবাদ করি। এখানে যারা আমাকে হুমকি ধামকি দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা কি আমার লেভেলের? কিছু সংখ্যক তৃতীয় শ্রেণীর মানুষ সরকারী দল করে টাকা কামাই করছে অবৈধভাবে আমরা কি জানিনা? সব জানি এবং বুঝি, এসব লিখে প্রতিবাদ করি। তবে বিচার তো একদিন সবার হবে॥ শেষ বিচার বলে যে কথা রয়েছে সেটির তো মুখোমুখি হতে হবে।
সে যাক। আমার যারা ইতালী প্রবাসী লন্ডন প্রবাসী তাদের ব্যপারে কেউ কোনো আজে বাজে কথা বলবেননা। যারা বলেন ইটালী প্রবাসীদেরকে কেউ দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যায়নি, তাদের উদ্দেশ্যে আমার ছোট একটি কথা “ও ভাই আপনাকেও তো কেউ দাওয়াত দিয়ে লন্ডনে অথবা ইতালীতে নিয়ে আসেনি। হয়তো এসেছিলেন লন্ডনে পড়ালেখার জন্য।হিথ্রো বিমান বন্দরে দস্তখত দিয়ে এসেছেন। বলেছেন পড়া লেখা শেষ করে চলে যাবেন। কিন্তু যাননি। আমাদের বোন ভাগনী বিয়ে করে বৃটিশ নাগরিকত্ব নিয়েছেন। বংশে কেউ ব্রিটিশ ছিলনা। চুপ থাকেন। শুধু নাগরিকত্ব নেননি ছেলে মেয়ে জন্ম দিয়ে বহাল তবিয়তে বসাবস করছেন। থাকেন লন্ডনে গান বাজান বাংলাদেশের। কেউ যদি আপনাকে লন্ডনের রাস্তায় আঠকিয়ে জিজ্ঞাস করে ও ভাই আপনার তো ১৫/২০ বছর আগে এ দেশ ছেড়ে চলে যাবার কথা ছিল যাননি কেন? কি জবাব দিবেন? জবাব আছে? নেই, অতএব একটু হুশ করে কথা বলেন। পাসপোর্ট পাওয়ার আগে আপনাদের এক রুপ, পাসপোর্ট পাওয়ার পর ভিন্নরুপ ধারণ করেন কেন? ২০১০/১১ ইংরেজীর দিকে চ্যানেল আই ইউরোপের লন্ডন ষ্টুডিওতে পুলিশ ঢুকেছিল, রুটিন ডিউটি। রাত তখন অনুমানিক ৯ টা, আমাদের নিউজ লাইভ যাবে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। পুলিশ ঢুকায় অনেকের চোখ উপর দিয়ে উঠে যায়—-। আমি বাইরে ছিলাম সেই সময় আমিও ঢুকি অফিসে, পুলিশ দেখে আমিও একটু বিচলিত বোধ করি। পুলিশকে জিজ্ঞাস করেছিলাম কি ব্যপার তোমাকে কি আমি সাহায্য করতে পারি? পুলিশ জিজ্ঞাস করেছিল কিসের অফিস? বলেছিলাম টেলিভিশনের অফিস, আমাদের নিউজ এখন লাইভ ব্রডকাস্ট হবে। পুলিশ খুবই বড় গলায় জিজ্ঞাস করেছিল। মিডিয়া শুনে সুর পাণ্টিয়ে বলেছিল “সরি“ সরি টু বদার ইউ বলে চলে যায়। পরবর্তীতে নিউজ কাষ্টার যিনি ছিলেন তিনি আমাকে এসে জিজ্ঞাস করেছিলেন পুলিশ কি চলে গেছে? আমি বলেছিলাম হ্যা কিন্তু তুমি এখানে কেন? তোমার তো ষ্টুডিতে থাকার কথা। নিউজ কাস্টার বলেছিলেন আমি তো এদেশে অবৈধভাবে আছি! বলেছিলাম বলেন কি? আমি জানতামনা তিনি অবৈধ। প্রিয় পাঠক নিউজ পড়ে। শাড়ী মেইকাপ সাজ সজ্জার কোনো কমতি ছিলনা। সেলিব্রিটি বাঙালী কমিউনিটির, তিনি অবৈধ। চিন্তা করতে পারেন? আমার তো আসমান ভেঙ্গে মাথায় পড়ার উপক্রম। যদি সেদিন পুলিশ ধরে নিয়ে যেত তাহলে ইংলিশ নিউজ পেপার-গুলোতে নিউজ হতো, “লিডিং বৃটিশ বেঙ্গলী টিভি চ্যানেল নিউজ কাষ্টার ইজ এন ইল্লিগ্যাল ইমিগ্রেন্ট। এ অবস্থায় অনেকেই এখানে কাজ করেন। যখন পাসপোর্ট পেয়ে যায় আরে বাবা কি লম্বা লম্বা কথা। মনে হয় সে-ই বৃটিশের বাবা অথবা মা। পাসপোট পাওয়ার আগে বাংলাদেশ বৃটেন নিয়ে কোনো কথা নেই। যখনই রেড পাসপোর্ট পেলেন তখন তার কথাবার্তা শুনলে অবাক বিস্ময়ে তাকানো ছাড়া করার কিছুই থাকেনা।
সে যাক। যারা ইতালী প্রবাসীদেরকে হেয় করার জন্য বিভিন্ন ভাবে আজে বাজে কথা বলছেন তাদেরকে বিনীতভাবে অুনরোধ করবো প্লিজ আমার ইতালী প্রবাসীদেরকে হেয় করার চেষ্টা করবেননা। দেশের আইন কানুন মেনে চলার উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা করবেননা। দেশকে আগে ঠিক করুন। ১৪ দিনের জন্য হাজী ক্যম্পে যে আমার প্রবাসীদেরকে নিয়ে রাখবেন সেখানে ইংলিশ টয়লেট নেই। ফ্লাট টয়লেট। গত ৫০ বছরে ইংলিশ টয়লেট লাগাতে পারেনি? এই হাজী ক্যম্পে ইংলিশ টয়লেট ফিক্সড করতে কত লক্ষ টাকা লাগবে? আমলা মন্ত্রী যারা তারা কোনোভাবে দোষ চাপাতে পারল্ইে তারা মনে করে ষোল কলা পূর্ণ করে ফেললো। অবশ্য যিনি গালি দিয়েছেন তিনিও অন্যায় করেছেন। গালী দেওয়ার দরকার কি? আপনি ইউরোপে থাকেন, মনে রাখবেন এ পৃথিবীতে সবচাইতে সভ্য হচ্ছে ইউরোপীয়ানরা। আরেকটি কথা ব্যবহারে বংশের পরিচয়। ঐ যে আগের আমলের মুড়ির টিন বাস গুলোতে লেখা ছিল ভূলে যান কেন? সে যাক একটি বিষয় আমাকে খুবই অবাক করেছে সেটি হচ্ছে পৃথিবীতে আর কোনো দেশ কিন্তু তার প্রবাসীদেরকে এ রকম হেয় করে কথা বলেনি। এমনকি বৃটেনে যে সব চায়নিজরা রয়েছে বরিস জনসন বলেননি চায়নিজরা করনা ভাইরাস ক্যারি করে এনেছে । অনেক বৃটিশ পাবলীকরা এমনকি বৃটিশ বাঙালীরা বলছেন ইষ্ট লন্ডনে ইতালীয়ান বাঙালীরা করনা ভাইরাস নিয়ে এসেছেন। কিন্তু বৃটিশ সরকারের কোনো মন্ত্রী বা এমপি অথবা দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা এসব বেফাস কথা বলছেননা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজতে রাখুন, একটি কথা মনে রাখবেন এ করনা ভাইরাস বেশীদিন স্থায়ী হবেনা ইনশাল্লাহ। তাই সরকার যেভাবে বলছে সেভাবেই মেনে চলুন। বাংলাদেশ বলুন আর বৃটেন বলুন। উভয় দেশের মানুষদের প্রতি অনুরোধ রইল।
বিঃদ্রঃ বৃটেনের জিসিএসি এবং এ লেভেলের পরীক্ষার্থী যারা তাদের জন্য খুবই দুঃসংবাদ। বৃটিশ সরকার সব কিছু বন্ধ করে দিয়েছে। পরীক্ষা নিয়ে মা বাবারা খৃুবই উদ্বিগ্ন। আমি নিজেও চিন্তীত। আমার ছেলে জিসিএসি পরীক্ষার্থী এবার। তাকে বলা হয়েছে পরীক্ষা হবেনা। প্রিডিক্টেড গ্রেইডের উপর নির্ভর করতে হবে। এটা কোনো কথা? শিক্ষকরা যা প্রিডিক্ট করে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাকেই মেনে নিতে হবে। অবশ্য কোনো কারনে শিক্ষকদের গ্রেইডের সাথে একমত না হলে এপিল করা যাবে। আমি জানিনা এগুলো কতটুকু যুক্তিসংঙ্গত? শিক্ষামন্ত্রী যা বলেছেন তাতে আমার মত অভিভাবকের দ্বিমত পোষন করা ছাড়া কি-ই-বা করার আছে? শিক্ষা মন্ত্রী মিঃ গেভীন যা বলেছেন তার অর্থ হচ্ছে আগে বাচতে হবে। সিলেটি একটা কথা আছে “বাচিলে নাছিবায়“ আর্থাৎ বাচলে নাচতে পারবা এবং পরীক্ষা ও দিতে পারবা। আল্লাহ ভরসা। মন খারাপ করে লাভ নেই। ১৬ বছর ছেলে মেয়ের পিছনে সময় ব্যয় করে এখন যদি মানব রচিত করনা ভাইরাসের কাছে জিসিএসি পরীক্ষা বন্ধ হয় তাহলে কি করবেন? সবই মালিকের ইচ্ছে, উপর-ওয়ালার ইচ্ছে।
শেষ কথা ঃ বাংলাদেশকে বাচাবে একমাত্র আল্লাহ। যদি করনার ভয়াবহতা বাংলাদেশে রুপ নেয় তাহলে লাশ রাখার জায়গা পাবেননা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনার ঘড়ি কাদের সাহেবকে বলুন মুখটা বন্ধ রাখতে। আপনার মন্ত্রীরা করনা ভাইরাস কি তা-ও বুঝে কি-না আমার সন্দেহ। বৃটেনের মত দেশে পাব রেষ্টুরেন্ট নাইট ক্লাব সব বন্ধ করে দিয়েছে। ঢাকা শহর সহ সব জেলা শহরে জমায়েত বন্ধ করুন। মানুষকে মাক্স পড়তে বলুন। মানুষ বাচান। গ্রামের দিকে খুব একটা এপেক্ট করবে বলে মনে হয়না। আর দয়া করে এ মুহুর্তে মুজিব বর্ষের আতশবাজী কম করতে বলুন। মুজিব বর্ষ নিয়ে যারা ব্যবসা করছেন লন্ডনের বাঙালী সুপারষ্টোর গুলোর মত তাদেরকে বলুন ব্যবসা সারা জীবন করতে পারবেন। একটু মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করতে। আর আপনার পেইড চামচাদের চামচামী কথা বার্তা বন্ধ করতে বলুন। আল্লাহ সাবইকে রক্ষা করো।
লেখক সাম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম
সাবেক ব্যবন্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ
সাবেক সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব
লন্ডন ২০/০৩/২০২০ ইংরেজী শুক্রবার।
ইমেইল rafcbanglastatement@yahoo.com