মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার আরেকটি কৌশলী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দেশের জনগন।
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৪৯:২০,অপরাহ্ন ৩১ মে ২০২০ | সংবাদটি ২২০৯ বার পঠিত
.
শাহাব উদ্দিন চঞ্চল
.
25 May 2013 লন্ডনের Philpot Restaurant আমাদের মুক্তিযোদ্ধা লোকমান ভাইয়ের রেষ্টুরেন্টে বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পি সাগরিকা জামালী’র একক সঙ্গীত সন্ধ্যার কথা মনে হলো। সেই সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর প্রিয় কয়েকটি ররীন্দ্র সঙ্গীতের তালিকা আগে থেকে ঠিক করা ছিল। যে গান গুলো বঙ্গবন্ধুর বেশি পছন্দ ছিল।আব্দুাল গাফ্ফার চৌধুরী আমিনুল হক বাদশাহ এবং লন্ডনস্থ বাংলাদেশের মাননীয় হাই কমিশনার মিজারুল কায়েস এবং মিসেস কায়েস সহ আমরা সেই সঙ্গীত সন্ধায় উপস্থিত ছিলাম, কেবল মাত্র বঙ্গবন্ধুর প্রিয় ররীন্দ্র সঙ্গীত শুনতেছি এরই মধ্যে মান্যবর হাই কমিশনার মিজারুল কায়েস একটি রবীন্দ্র সঙ্গীতের কথা বললেন বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে জামাইকায় রাষ্ট্রীয় সফরে যে হোটেলে অবস্থান করছিলেন সেই হোটেলে তখনকার পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরীও ছিলেন, তার মুখ থেকে তিনি শুনেছেন বঙ্গবন্ধু বার বার যে গানটি হোটেলে শুনছিলেন সেই গানটির কথা। সাগরিকা জামালী’র জানা থাকলে গানটি গাইতে অনুরোধ করলেন।“আমার রাত পোহালো সারদ প্রাতে আমার রাত পোহালো— বাঁশি– বাঁশি- তোমায় দিয়ে যাব কাহার হাতে –।”
.
আমার রাত পোহালো শারদ প্রাতে।
বাঁশি, তোমায় দিয়ে যাব কাহার হাতে।
তোমার বুকে বাজল ধ্বনি
বিদায়গাথা, আগমনী, কত যে–
ফাল্গুনে শ্রাবণে, কত প্রভাতে রাতে॥
যে কথা রয় প্রাণের ভিতর অগোচরে
গানে গানে নিয়েছিলে চুরি করে।
সময় যে তার হল গত
নিশিশেষের তারার মতো–
শেষ করে দাও শিউলিফুলের মরণ-সাথে॥
.
সাগরিকা জামালী’র পুরো গানটি গাইলেন তার পর এই গানটি নিয়ে আলোচনা শুরু হলো কেন বঙ্গবন্ধু তখন এ গানটি বার বার শুনছিলেন এর বিশ্লেষনের পর সবাই তখন আবেগ প্রবন হয়ে পড়লেন। কিছুক্ষন বিরতির পর আব্দুাল গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৭২ সালে কলকাতা রাষ্ট্রীয় ভবনে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে এক রবীন্দ্র সন্ধ্যার কথা বললেন। রাষ্ট্রীয় ভবনে বঙ্গবন্ধু যাবার আগেই কিছু লোকের উপস্থিতি দেখে বঙ্গবন্ধু অবাক এরা কিভাবে এখানে আসলো বঙ্গবন্ধু টের পেয়ে গেলেন, সাধু সেজে রবীন্দ্র শুনতে এসেছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন রাজাকার, শিল্পীরা আগমন করলেন রাজাকাররাও বসে আছেন।হলে ডুকার সময় প্রত্যেকের হাতে প্রিন্টকরা অনুষ্ঠান সূচী দেয়া হলো।গানের তালিকায় বঙ্গবন্ধুর পছন্দের কয়েকটি রবীদ্র সংগীত ধারাবাহিক ভাবে সাজানো ছিলো কোনটির পর কোনটি গাইবেন বিভিন্ন শিল্পীরা।
.
শিল্পীরা বঙ্গবন্ধুর কাছে এসে কুশল বিনিময় আর শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এই সময় বঙ্গবন্ধু তিনির সফর সঙ্গীদের একজনকে দিয়ে শিল্পীদের জানালেন প্রার্থনা সঙ্গীতের আগে যেন এই গানটি গাইতে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল প্রার্থনা সঙ্গীত- “বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা- বিপদে আমি না যেন করি ভয়। দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে নাই বা দিলে সান্ত্বনা, দুঃখে যেন করিতে পারি জয়।” এই গান দিয়ে শুরু করার কথা থাকলেও শিল্পীরা প্রথমে যে রবীন্দ্র রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করছিলেন তার পরপরই উপস্থিত রাজাকাররা বুঝতে পারলো এই গানটি তাদের রুহের উপর হচ্ছে এর পরই সব রাজাকাররা তাড়া হুড়ো করে বেরিয়ে গেল। রাজাকারদের বেরিয়ে যাওয়া দেখে বঙ্গবন্ধু হাসলেন,তাদের আর গান শুনা হলো না সাগরিকা জামালী’র কন্ঠে সেই গানটি শুনলাম গানটি’র আলোচনার আগে আরও কিছু ঘটনার কথা স্মরন করছি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে ১৯৭২ সালে কলকাতা রাষ্ট্রীয় ভবনের গানের অনুষ্ঠানে তারা কৌশলে ডুকে পড়েছিলো কিন্তু কেহ না বুঝলেও বঙ্গবন্ধু ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন এরা কেন এখানে এসেছে। বঙ্গবন্ধু যখন হাসি মুখে কোন কথা না বলে সেদিন কৌশলে রবীন্দ্র সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠানের হল থেকে রাজাকারদের বের করে দিয়েছিলেন। সেদিন তারা নিজ দেশে ছেড়ে অন্য দেশে গিয়ে তাদের রূপ পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধুর সাথে মিশতে চেয়েছিলো এরা পারেনি বঙ্গবন্ধুর চোখ ফাঁকি দিতে এবার কিন্তু তারা আওয়ামীলীগে ডুকে পড়েছে সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে। “একদিন যারা মেরেছিল তাঁরে গিয়ে রাজার দোহাই দিয়ে এ যুগে তারাই জন্ম নিয়েছে আজি, মন্দিরে তারা এসেছে ভক্ত সাজি–আজ আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে রূপ পরিবর্তন কারীদের দল ভারী। রাজাকাররা বাংলাদেশের জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চলেছে যখন যেটা দরকার সেই কৌশল অবলম্বন করছে গত ১ দশকের বেশী সময় থেকে তারা জাসদ কমিউনিষ্ট আর ওর্য়াকার পার্টি’ সহ বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীর মাধ্যমে আওয়ামীলীগে ডুকছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় সভানেত্রী কি হাসি মুখে কৌশলে এদের বের করে দিতে পারবেন না?(২০১২ সালে সেন্ট্রাল লন্ডনের কিংক্রসের St. Pancras Renaissance Hotel Londonএ রাধা কৃষ্ণের গানের পরের দিন আবার প্রধানমন্ত্রী কথা বলছেন লেখকের সাথে। ছবি দেখতে ক্লিক করুন (https://www.facebook.com/photo?fbid=3587224172997&set=a.3587216172797)
.
২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র লন্ডন সফরের সময় সেন্ট্রাল লন্ডনের কিংক্রসের St. Pancras Renaissance Hotel London এ সাংবাদিকদের সাথে ইফতারে আগে মত বিনিময় সভায় তৎকালিন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি আওয়ামীলীগ নেত্রীবৃন্দ সহ লন্ডনের সাংবাদিক গনের সাথে মত বিনিময় শেষে ইফতার এবং নামাজের পর ইংগিতে এক প্রশ্ন করেছিলেন Head of Bengali Service এবং Editor, BBC Bangla র সাব্বির মোস্তফা- হিলারী ক্লিনটন এবং ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস কে নিয়ে। তখন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ডাক দিয়ে বলেছিলেন এই তোমাদের সিলেটের যে একটি গান কি যেন কৃষ্ণ আর রাধা -গাওতো গানটি আমি অবাক! বললাম কোনটি আপা-তিনি বললেন-কৃষ্ণকে নিয়ে যে গান। আমি তখনো বুঝতে পারছি না কি করবো, তার পর গানটির কথা বললাম কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে ফুলে পাইলা ভ্রমরা। তিনি বললেন আরে সুর দিয়ে গাও তখন আমি গানটি গাইলাম আপা আর দিপু-মনি সহ আমরা হাত তালি দিতে থাকলেন অনেকে নাচলেন। গান শেষে তিনি সংক্ষেপে সাব্বির মোস্তফাকে বললেন এই তোমার প্রশ্নের জবাব। সবাই কিন্তু সেদিন বুঝতে পারেন নাই এই প্রশ্নের জবাবটা তবে সাব্বির মোস্তফা নিশ্চয়ই বুঝেছিলেন আশরাফ ভাই আমাকে বললেন বুঝলেন ভাই জান কে রাধা আর কৃষ্ণ বিষয়টি পরে বুঝিয়েছিলেন।
.
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেদিন বিশ্ব ব্যাংক আর পদ্মা সেতু নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করে ছিলেন আপনি টের পেয়ে ছিলেন সাব্বির মোস্তফা’র প্রশ্নের কৌশলী জবাবটা ছিল চমৎকার। পরবর্তিতে হিলারী ক্লিনটন, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস আর বিশ্ব ব্যাংক বুঝাতে পেরেছিলেন আপনিও বিশ্ব রাজনীতি জানেন কৌশলে তাদের পরাজিত করেছেন। পরের দিন টেমস্ নদীর পারের Park Plaza London Waterloo হোটেলে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে আপনার জনসভায় বক্তব্য রেখেছিলাম বলেছিলাম-বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রাম থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার একটি হিসাব উপস্থাপন করেছিলাম, প্রতিটি গ্রাম থেকে সমান অংশ আমরা আপনাকে সংগ্রহ করে দিব পদ্মা সেতুর জন্য আপনি পিছপা হবেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি সফল হয়েছেন আপনার সেদিনের কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে ফুলে পাইলা ভ্রমরা গানের মাধ্যমে সেই কৌশলী জবাব আর ১৯৭২ সালের বঙ্গন্ধুর কলকাতা রাষ্ট্রীয় ভবন থেকে হাসি মুখে ররীন্দ্র সংগীত দিয়ে রাজাকার তাড়ানোর জবাব আমাকে অনেক সাহস জুগিয়েছে আপনি আবার কৌশলে দল থেকে হাসি মুখে রাজাকার নির্মুলের কৌশলটা আমাদের দেখিয়ে দিন।(২০১২ সালে টেমস্ নদীর পারের Park Plaza London Waterlooতে ডায়াসে আওয়ামীলীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দাড়ানো লেখক- ছবি দেখতে ক্লিক করুন -https://www.facebook.com/photo/?fbid=10211244648465746&set=a.3587216172797)
.
পূর্ব লন্ডনের প্লাম টি রেষ্টুরেন্ট বিচারপতি সামছ উদ্দিন চৌধুরী মানিক’এর সম্মানে এক নৈশ ভোজে আব্দুাল গাফ্ফার চৌধুরী আমি মাননীয় হাই কমিশনার মিজারুল কায়েস সহ বেশ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপাস্থিত। একটু আলোচনা হবে তারপর গান হবে শিল্পীরাও এসেছেন। শিল্পীরা আমাদের পরিচিত বিচারপতি সামছ উদ্দিন চৌধুরী মানিক ভাইও গান গাইবেন এমন করে সাজানো হয়েছে। হলে ডুকার পর বেশ কয়েকজন চিহ্নিত টাউট হলে দেখে আমার উপরের উল্লেখিত বঙ্গবন্ধুর কাহিনী মনে পড়ে গেল। হলে ঢুকে আমি আব্দুাল গাফ্ফার চৌধুরীর টেবিলে গিয়ে বসলাম। পাশের টেবিলের বসা লোকদের কথা বার্তা শুনে অন্যন্য সব টেবিলের লোকজন বিরক্ত বোধ করছেন।এদের মধ্যে কয়েজনের মুখ আমি চিনি। তাদের টেবিলের মধ্যে রাজাকার পরিবারের সন্তান একজন একটার পর একটা আওয়ামী বিরোধী গল্প বলেই চলেছে। তাদের গল্প বলার ধরন আর উচ্চ স্বরে কথা বলার কারনে গাফ্ফার ভাই আমাকে বলেলন মুহিবকে বলতো একটা ররীন্দ্র সংগীত সিডিতে বাজাতে। কারন রবীন্দ্র সংগীত শুনলে হয়তো অনুষ্ঠান শুরুর আগ পর্যন্ত এরা নীরব থাকবে বা হলের বাইরে চলে যাবে।
.
মুহিব ভাই (আমাদের এক সময়ের নতুন দিনের সম্পাদক) রবীন্দ্র সঙ্গীত এর সিডি না পেয়ে অন্য একটি সিডি লাগালেন গানটি ছিল আমেরিকা প্রবাসী এক বাঙালী শিল্পী লাল মিয়ার। গান শুনে গাফ্ফার ভাই আমাকে বলেলন চঞ্চল গানটা বন্ধ করতে বলো, আর ভাল লাগছেনা দেখতো মিজারুল কায়েস আ্সতে আর কতক্ষন এরই মধ্যে ফোন এলো ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়েছেন আরো ১৫/২০ মিনিট লাগবে। শাসছ উদ্দিন চৌধুরী মানিক ভাই ব্যারিষ্টার আনিসুল হক সহ অনেকই এসে উপস্থিত হয়েছেন সবাই মান্যবর হাই কমিশনারের অপেক্ষায়। এরই মধ্যে আমি গাফ্ফার ভাইর মেজাজটা বুঝতে পারলাম আর পাশের টেবিলের অত্যাচার আর সহ্য হচ্ছে না। এবার আমি সেই পাশের টেবিলের পরিচিত লোকটির মুখ বন্ধ করতে একটি সত্য কাহিনী শুরু করলাম। তার গল্প শুনে আমি টেবিলের গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেই গাফ্ফার ভাইর বলা কাহিনীর সাথে মিল রেখে সিলেট অঞ্চলের শিবিরের ফুলকুঁড়ি তেকে আওয়ামীলীগে যোগদানকারীর ভাই এক টগ জিনের মুল্লার কাহিনী দিয়ে শুরু করলাম।
.
কয়েক বছর আগে এই টগ মোল্লা না-কি তার মাদ্রাসার উন্নয়নের নামে সহজ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে ধোঁকা দিয়ে চাঁদা আদায়ের জন্য ওয়াজের আয়োজন করেছিলো। আগে থেকে জানানো হয় উক্ত ওয়াজ মাহফিলে মাগরিবের নামাজের পর জিনের মুল্লা উপস্থিত হবেন তাকে দেখা যাবে না, তবে সে ওয়াজ মাহফিলে বয়ান করবে আপনারা জিনের বয়ান শুনতে পাবেন তিনি জিন্নে মুমিন। খবরটি শুনে লোক জন উক্ত ওয়াজ মাহফিলে দলে দলে যোগদান করেন। আয়োজক টগ মুল্লার সভাপতিত্বে বিভিন্ন ওয়াজির ওয়াজ চলেছে সন্ধ্যার পর টগ মুল্লা ওয়াজের জন্য নির্মিত ডায়াসের টেবিলের নিচে কাপড়ের আড়ালে একটি ক্যাসেট প্লেয়ারে একটু ভিন্ন কন্ঠে আগেই রেকর্ডারে বয়ান রের্কড করে রাখে।একটা মাইক্রোফোন টেবিলের নিচে রেকর্ডারের স্পিকারের সাথে যুক্ত করে রাখে। ডায়াসের আশে পাশে টগ মুল্লার অনুগত পাহাদার ছিল। এক সময় অন্ধকার হয়ে আসলে টগ মুল্লা ঘোষনা করেন এখন জিনের মুল্লা জিন্নে মুমিন ওয়াজ করবেন সাথে সাথে লোক জন নিরব নিস্তব্ধ টগ মুল্লা খুব সর্তকতার সাথে পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলি দিয়ে টেবিলের নিচে রাখা রেকর্ডারের প্লে “বটমে” চাপ দিলে জিন্নে মুমিন নামের জিনের বয়ান শুরু হয়,সাধারন মানুষ জিনের বয়ান শুনে কিছু কিছু ভয় এবং আতঙ্ক বিরাজ করছে। সব জায়গায় কিছু প্রতিবাদি এবং সাহসী মানুষ আছে।
.
ডায়াসের কাছে কিছু সাহসী লোক টগ মুল্লার আচরন গতিবিধি আগে থেকে লক্ষ্য করে আসছে, তারা টগ মুল্লা যখন পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলি দিয়ে টেবিলের নিচে রাখা রেকর্ডারের প্লে “বটমে” চাপ দেয় তখন তারা নিশ্চিত হয়ে যায় এটা টগ মুল্লার প্রতারনা, নিশ্চয়ই এটা রেকর্ডারে তারই রের্কড করা বয়ান হবে একটু ভিন্ন সুরে। এদিকে জিনের বয়ান চলছে খুব সর্তকতার সাথে ২/৩ জন লোক টগ মুল্লার ডায়াসের টেবিলের উপরের কাপড় এক টানে উঠায়ে ফেলে চিৎকার দিয়ে বললো এটা রেকর্ডারে রের্কড করা ওয়াজ জিনের ওয়াজ নয়, এই দেখেন আপানারা- টেবিলের নিচে রাখা মাইক্রোফোন রেকর্ডারের স্পিকারের সাথে যুক্ত করে রাখা এরমধ্যে একজন ক্যাসেট প্লেয়ারটা উচু করে লোকজনদের দেখালেন- হই হুল্লোড় পড়ে গেল,উত্তম মধ্যমের জন্য লোকজন চারি দিক থেকে ধর ধর জিনের মুল্লারে ধর টগ মুল্লারে ধর, অবস্থা বেগতিক দেখে এই ফাঁকে টগ মুল্লা বিপদ বুঝে লোকের ভিড়ের মধ্যে গিয়ে গায়ের পাঞ্জাবী খুলে শিয়ালের মত দৌঁড় দেয়, এই দৌঁড়ের উপরে টগ মুল্লা আর বাড়িতে না গিয়ে অন্য জায়গায় কিছু দিন আত্মগোপন করে থাকে তার পর সে না-কি লন্ডন চলে আসে আর বাড়ি যায় নাই।কে সেই টগ মুল্লা কোথায় তার বাড়ি কি-ভাবে এখন তাঁরা টগাটগি চালাছে তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও বুঝি একে একে একই টগ বিদ্যায় পারদর্শি? সেই মুল্লা নাকি এখন লন্ডনে বসবাস করছে।
.
সত্য এই কাহিনীটা আমি একটু রশালো করে বলছি পাশের টেবিলের সবাই শুনছে। হঠাৎ অনুষ্ঠানের আয়োজক মুহিব চৌধুরী আমাকে বললেন মাইকে গিয়ে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করতে আমি মুহিব ভাইকে না করলাম। তিনি জোর করে আমাকে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করলেন। শুরুর আগে অনুষ্ঠান সর্ম্পকে ব্রিফ লিখতে গিয়ে যখন মাইকের এসে শুভ সন্ধ্যা বলে পরিচালনা শুরু করছি তখন দেখি পাশের টেবিলের সব লোক উধাও হয়ে গেছে। হাসতে হাসতে অনুষ্ঠান শুরু করে অতিথিদের কোন মতে আসন গ্রহন করায়ে অনুষ্ঠানের বাকি অংশ সেদিন আমার আর পরিচালনা করা হলো না। ব্যারিষ্টার আনিসুল হক ওবিই ভাই কে পরিচালনা করার দায়িত্ব দিয়ে সোজা হলের বাইরে এসে দেখলাম তারা বাইরে সিগারেট টানছেন আর গাড়িতে বসা লোকটি তাদের একজন বলছেন চল চল যাইগা এখানে আর সুবিধা লাগছেনা। আমি হাসতে হাসতে হলে ডুকে দেখলাম আনিস ভাই আমাকে ইশারা করছেন অনুষ্ঠান পুনরায় পরিচালনা করতে আমি হাত দিয়ে অসম্মতি জানিয়ে টেবিলে বসে রইলাম।
(২০১৩ সালে প্লামটি রেষ্ঠুরেন্টের অনুষ্ঠানের একটি ছবি-বাম থেকে বিশিষ্ট কলামিষ্ট জনাব আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ,বিচারপতি শামছ উদ্দিন চৌধুরী মানিক, আমি শাহাব উদ্দিন চঞ্চল ,পিছনে ব্যারিষ্টার আনিসুল হক, জনাব মিজারুল কায়েস মাননীয় হাই কমিশনার যুক্তরাজ্য।
ছবি দেখতে ক্লিক করুন——(https://www.facebook.com/photo?fbid=580768111977650&set=p.580768111977650)
.
এই সেই টগ জিনের মুল্লা এক সময় সিলেট ২ নির্বাচনী এলাকা থেকে ফ্রিডম পার্টির কুড়াল মার্কা প্রতিকে নির্বাচনে দাড়িয়েছিলো। সেদিনের এই অনুষ্ঠানে এই জিনের মুল্লার আত্মীয়রা আমাদের পাশের টেবিলের বসে লোকজনকে বিরক্ত করিয়ে ছিল। এরা আসলেই বিভিন্ন কৌশলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে যায়। জিনের মুল্লার পরিবারের সদস্যরা এটির চাইতে অন্যটি বড় টগ এবং প্রতারক এত সহজে তরল পদার্থের মত যে পড়ে সেই পাত্রের আকার ধারন করতে পারে এরা।এই সেই জিনের মুল্লার এলাকায় তাদের মাদ্রাসায় নাকি ১৯৭১ সালে ৮১জন নিরিহ হিন্দু ধর্মের লোককে তারই মামার নেত্রীত্রে হত্যা করা হয়েছিল। আগের সেই মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করে এখন না-কি বেগম ফজিলতুন নেছা মুজিব মাদ্রাসা নাম করন করা হয়েছে। নিশ্চয়ই এখানে কোন জালিয়াতি বা প্রতারনার উদেশ্যে এটা করা হয়েছে।এই ধরনের জিনের মুল্লারা তাদের পরিবারে সদস্যদের ১৯৭৫ সালের পর থেকে আওয়ামীলীগের কৌশলে ডুকিয়ে দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে বিনিত অনুরোধ এ সকল জালিয়াত প্রতারক যারা সরকার এবং আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে কৌশলে ডুকিয়ে পড়েছে এদের একটি বিহিত করুন প্লিজ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার আরেকটি কৌশলী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দেশের জনগন।
.
কলকাতার রাষ্ট্রিয় ভবনে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে যে গানটি আমরা সে দিন সাগরিকা জামালী’র কন্ঠে শুনে ছিলাম গানটি আপনাদের জন্য-
.
“একদিন যারা মেরেছিল তাঁরে গিয়ে
রাজার দোহাই দিয়ে
এ যুগে তারাই জন্ম নিয়েছে আজি,
মন্দিরে তারা এসেছে ভক্ত সাজি–
ঘাতক সৈন্যে ডাকি
‘মারো মারো’ ওঠে হাঁকি ।
গর্জনে মিশে পূজামন্ত্রের স্বর–
মানবপুত্র তীব্র ব্যথায় কহেন, হে ঈশ্বর !
এ পানপাত্র নিদারুণ বিষে ভরা
দূরে ফেলে দাও, দূরে ফেলে দাও ত্বরা ।।
লন্ডনঃ ৩০ মে ২০২০
লেখকঃ রাজনীতিক ও সাংবাদিক।
Email: chanchal_math@yahoo.co.uk/ www.facebook.com › shahab.chanchal।