আসন্ন পৌর নির্বাচনে নাচোলে পৌরবাসী মেয়র হিসাবে শুচিকে দেখতে চায়
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:১১:০৮,অপরাহ্ন ০৬ নভেম্বর ২০২০ | সংবাদটি ৪৪৭ বার পঠিত
বিশেষ প্রতিনিধি
আসন্ন পৌর নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৌরসভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি হতে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে অন্যান্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রদলের সোনালী অতীত জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের জেলা শাখার প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক জননেত্রী মাসুদা আফরোজ হক শুচি।
বরেন্দ্র অঞ্চলের তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের জন্য বিখ্যাত নাচোলকে আধুনিক, মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা সমাজসেবক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, নারী নেত্রী মাসুদা আফরোজ হক শুচি’র।বর্তমানে প্রতিদিনই নিজের নির্বাচনী এলাকায় জনসাধারণের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বিভিন্ন সমস্যা-সম্ভাবনার কথা শুনছেন গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন শুচি।
রাজনীতির সুবাদে বিভিন্ন সময়ে জেলার অনেক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তার পৃষ্ঠপোষকতায় এ পর্যন্ত অনেক দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রী উচ্চশিক্ষা অর্জন করে চিকিৎসক ও প্রকৌশলী হয়েছেন বলে জানা গেছে। এক প্রতিক্রিয়ায় মাসউদা আফরোজ হক শুচি বলেন, আমার বাবা মসিদুল হকের বৃহৎ রাজনৈতিক কর্মকান্ডই আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে রাজনীতিতে আসতে। বাবা সব সময় একটি বিষয় বোঝানোর চেষ্টা করতেন যে একমাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি মানুষকে সেবা দেয়া সম্ভব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রান্তিক জনগণের সামগ্রিক উন্নয়ন, নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, কৃষি ও শিল্প সম্প্রসারণে জন্য কাজ করে তিনি দেখিয়েছেন শহীদ জিয়ার প্রতি তাঁর ভালবাসা ও দর্শন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমিনুল ইসলামের ভাইয়ের বউ ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের বিএনপির দলীয় প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মাসুদা আফরোজ হক শুচি বলেন, দল আমাকে মূল্যায়ন করলে অব্যশই আসন্ন নাচোল পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবো এবং ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।
শুচি রাজনীতিতে এসেছেন পিতার রাজনৈতিক পরিচয়ের সূত্র ধরে,খুব অল্প দিনের মধ্যেই নিজের পরিচয়কেই মুখ্য করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।তিনি একজন জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান । নাচোল উপজেলার প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এম মজিদুল হক সাধারণ সম্পাদক নাচোল উপজেলা বিএনপি ও সহ সভাপতি চাপাই নবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি তিনির সুযোগ্য উত্তরসূরি মাসুদা আফরোজ হক শুচি,পিতার অনুসৃত পথেই হাঁটছেন তিনি। ছাত্রদলের সুনালী অতীত শুচি হয়ে উঠেছেন পুরোদস্তুর রাজনীতিক। প্রতিনিধিত্ব করছেন তরুণ প্রজন্মের। তবে নিজেকে শুধু রাজনীতিতেই সীমাবদ্ধ রাখেননি সদালাপী এই নারী একধারে একজন সফল ব্যবসায়ী। রাজনীতির বাইরেও রয়েছে তার অন্য এক ভুবন। জড়িত রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে। ছাত্র দলের রাজনীতিতে হাতে খড়ি ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পোরশা ডিগ্রীকলেজ শাখা ছাত্র দলের সহ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী ও তিনিও রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দল চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সহ সভাপতি ও এফবিসিআই বাংলাদেশের এর সদস্য।
দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে নিজেকে এগিয়ে রাখার কারন হিসেবে তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করছি। মহিলা দল, যুব দল, ছাত্র দলসহ বিএনপির সকল সহযোগী সংগঠনের সাথে কাজ করেছি। এমনকি ইতোপূর্বে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার সবগুলোতেই সক্রিয়ভাবে দলকে বিজয়ী করতে ভূমিকা পালন করেছি।বিএনপি চেয়ারপার্সন আপোষহীন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবৈধ বিনা ভোটার সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলনে ছিলাম আগামীতে ও থাকবো।
এছাড়াও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট ৩ থানার বিএনপির প্রধান নির্বাচনী এজেন্টের দায়িত্ব অত্যান্ত সাহসিকতা ও কর্মনিষ্টার সাথে পালন করেছি।বিএনপি চেয়ারপার্সনের কর্মসূচিগুলোতে অংশ নিয়েছি।প্রতি মাসেই এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর নিতে নিজের নির্বাচনী এলাকায় যাই।
তিনি জানান, সারাদেশে বিএনপি মাত্র ৬টি আসনে জয়লাভ করেছে, তারমধ্যে আমার ও দলের নেতাকর্মীদের দিনরাতের পরিশ্রম ও সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিকট চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনকে বিজয় উপহার দিতে সমর্থ হয়েছি। তাই আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করলে এবং সঠিকভাবে দলীয় সিদ্ধান্ত হলে ইনশাআল্লাহ বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হবো।
শুচি বলেন, আমি বিএনপি’র একজন সক্রিয় কর্মী। দলের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করছি এবং নির্যাতিত নেতাকর্মীদের কাছে সবসময়ই এগিয়ে গেছি, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
তিনি আরো বলেন, অনেক সিনিয়র নেতাসহ জণগন চাইছেন আমি নাচোলপৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে পৌরএলাকার উন্নয়নে কাজ করি। বিএনপি থেকে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা মনোনয়ন চাচ্ছেন তারা অবশ্যই যোগ্য। এতগুলো যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ একসাথে কাজ করলে আগামীতে অপশক্তিকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের জেলা শাখার প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদা আফরোজ হক সূচি বলেন, নাচোল বরেন্দ্র অঞ্চলের একটি অবহেলিত পৌরসভা। গত কয়েক দিনে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়ে দেখেছি, নাচোল পৌরসভায় রাস্তায় বাতি নেই, ড্রেনেজ, রাস্তা-ঘাট, কালভার্টের বেহাল দশা, এমনকি ট্যাক্স নির্ধারন ও আদায়েও নানা অব্যবস্থাপনা। সবসময় জনসাধারণের সাথে ছিলাম, এখন আছি ও আগামীতেও থাকতে চাই। সে লক্ষ্যে সৌজন্য সাক্ষাতে জনসাধারণের নানা সমস্যার কথা শুনেছি এবং এসব সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে মেয়র নির্বাচিত হলে নাচোল পৌরসভাকে আধুনিক, মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।দল আমাকে পৌরমেয়র হিসাবে মনোনীত করলে এলাকাবাসী আমাকে মেয়র হিসাবে নির্বাচিত করলে পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে পৌরবাসীর দুঃখ কষ্ট ও মৌলিক সমস্যা সমাধানের জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।